জ ই বুলবুল, এলাকায় ঘুরে এসে : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ের হাসি হাসলেন ‘চেয়ারম্যান’ পদে ফারুক আহমেদ (আনারস), ‘ভাইস চেয়ারম্যান’ (পুরুষ) পদে মো. মেহেদী হাসান (চশমা) ও ‘ভাইস চেয়ারম্যান’ (নারী) পদে মাহমুদা আক্তার শিউলী (ফুটবল) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
গত ৫ জুন রাত এগারোটা চল্লিশ মিনিটে ভোট গণনা শেষে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
পরে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া দুই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম ও নির্বাচন কর্মকর্তা আজগর আলীর যৌথ স্বাক্ষরযুক্ত নির্বাচনী ফলাফল শিটে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে বিজয়ী ফারুক আহমেদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে চশমা প্রতীকে বিজয়ী মো. মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪০৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকে মো. খাইরুল আমীন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৪৪ ভোট।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ফুটবল প্রতীকে বিজয়ী মাহমুদা আক্তার শিউলী পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৫৪৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকে সাবিনা ইয়াছমিন পুতুল পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৩৯ ভোট।
নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী বিজয়ী হলেও, এ নির্বাচনে মোট ২০ জন প্রার্থী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৯ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
উল্লেখ্য, নবীনগর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নের মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৬৯ জন ভোটার রয়েছে। যারমধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৮ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৪৬৯ জন,তৃতীয় লিঙ্গের ভোট ২টি।
তবে নির্বাচনে কাস্টিং ভোট পড়েছে ২৭%।মোট ১৫৬টি কেন্দ্রে সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠু হওয়ায় নবীনগর উপজেলা বাসী স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
সাধারণ ভোটারদের মাঝে আলোচনা ছিলো, এবার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেছে যা নবীনগরে অনেকেই চিন্তা করেনি। তবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।
যদিও পরাজিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস (ঘোড়া প্রতিকের) নির্বাচন চলাকালীন সময়ে স্থানীয় সংসদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে মিডিয়ায় মনগড়া ভাবে বক্তব্য প্রদান করেন, পরে সরেজমিন এলাকা ঘুরে এর তেমন কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তবে দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো যথেষ্ট তৎপর।
ওসি মাহবুব আলম বলেন, আমরা এ কয়েকটি দিন নাওয়া খাওয়া ছেড়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি।
এলাকায় ঘুরে দেখা হয় এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেসব ও শিল্পপতি রিপন মুন্সির সাথে, তিনি বলেন, অত্যন্ত শান্তি বজায় রেখে সুষ্ঠ একটি নির্বাচন হয়েছে। এবং আমাদের স্হানীয় সংসদ সদস্যের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে।