নারী এশিয়া কাপের গত আটটি আসরে ভারতের পর সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা দল হলো শ্রীলঙ্কা। তবে ভারত সাতটি শিরোপা ঘরে তুললেও ট্রফি হয়নি লঙ্কানদের। তবে নবম আসরে সেই আক্ষেপ ঘুচেছে শ্রীলঙ্কার। ঘরের মাঠে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিকরা।
রোববার (২৮ জুলাই) ডাম্বুলায় আগে ব্যাট করে লঙ্কানদের ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এতে এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিকরা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ৩ বলে ১ রান করে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন বিষ্মি গুণারত্নে। তবে হার্ষিতা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন চামারি আথাপাত্তু। ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই লঙ্কান অধিনায়ক।
তবে পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। ৪৩ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন আথাপাত্তু। তবে ব্যাট চালাতে থাকেন সামারাবিক্রমা। ৪৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন কাভিষা দিলহারি।
শেষ পর্যন্ত হার্ষিতা সামারাবিক্রমার ৫১ বলে ৬৯ রান এবং দিলহারির ১৬ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
ভারতের হয়ে একটি মাত্র উইকেট শিকার করেন দ্বীপ্তি শর্মা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই ভারতীয় ওপেনার শেফালি ভার্মা এবং স্মৃতি মান্ধানা। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তোলে ভারত। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি শেফালি। ১৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর (১১) এবং উমা সেত্রী (৯)। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন স্মৃতি মান্ধানা। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জেমিমাহ রদ্রিগেস।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি তিনি। ১৬ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে রান আউট হন জেমিমাহ। অপর প্রান্তে ৪৭ বলে ৬০ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব চালাতে থাকেন রিচা ঘোষ।
ইনিংসের শেষ ওভারে তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন রিচা। ১৪ বলে ৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত পুজার ৫ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ভারত।