জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও শাহনাজ সিদ্দিকীকে ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে তাদের দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি ব্যবস্থাপনা কমিটি বরাবর পেশ করেন। তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে জাতীয় প্রেসক্লাব ও সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ওই তিনজনকে অব্যাহতি ও তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজকে সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন হাসান হাফিজ।
এদিকে এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন ফরিদা ইয়াসমিন ও শ্যামল দত্ত। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ক্ষমতা পালাবদলের পর জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন সদস্য চর দখলের মতো ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সহসভাপতি হাসান হাফিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া অগঠনতান্ত্রিকভাবে নিজেদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, তারা অগঠনতান্ত্রিকভাবে সভা ডেকে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি এবং একজন সদস্যসহ তাদের তিনজনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। এছাড়া ৫০ জনের বেশি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সদস্যপদ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এ ধরনের যেকোনো কর্মকাণ্ড গঠনতন্ত্রবিরোধী ও অবৈধ গণ্য হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন ফরিদা ইয়াসমিন ও শ্যামল দত্ত।