দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সকালে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারদিক। সকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধানও কিছুটা কমে এসেছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগের দিন শনিবার এখানে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “গত কয়েকদিন ধরেই এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রিতে বিরাজ করছে। আজকে রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।”
তাপমাত্রা আরও কমবে বলেও জানান তিনি।
কনকনে হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের জনজীবন। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য। বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিল ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়)-১২.০ , সৈয়দপুর : ১৪.৯, ডিমলা (নীলফামারী): ১৪.০, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম):১৩.০, রংপুর: ১৪.০, চুয়াডাঙ্গা ১১.৪, যশোর ১৩.০, রাজশাহী ১১.২, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১১.৮ ও শ্রীমঙ্গল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরম জামাকাপড় পরার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন এখানের শীতার্তরা। শীতে জবুথবু হয়েও কাক ডাকা ভোরে অনেক শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হয়েছেন।