আগামীকালই মহান বিজয় দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। গত এক মাস ধরে চলছে সৌন্দর্য বর্ধন, ধোঁয়া মোছাসহ প্রস্তুতির সব কাজ।
মহান বিজয় দিবসে লাখো মানুষের ঢল নামবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সকালে রাষ্ট্রপতি ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের ফটক।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর যোদ্ধাদের শ্রদ্ধায় এক মাস ধরে স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তর। ধুয়েমুছে পরিষ্কার করার পর রঙ তুলির আঁচড়ে সাজানো হয়েছে বেদি পর্যন্ত যাওয়ার সড়ক। সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে রঙিন গাছ। ছোট বড় গাছ ও ফুলের গাছগুলো কেটেছেটে করা হয়েছে পরিপাটি। শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করেছেন।
স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নতুন ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। সড়কবাতিগুলোর লোহার পাইপে নতুন করে রংয়ের আঁচড় পরেছে। স্মৃতিসৌধের ফটকে স্মৃতিসৌধ দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। নিরাপত্তার স্বার্থে জনসাধারণের প্রবেশ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকার বিষয়টি জানার পর ফটকের খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে স্মৃতিসৌধ দেখছেন তারা।
এদিকে স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে নতুন সড়কবাতি লাগানো, সড়ক বিভাজকে নতুন করে রং দেওয়া ও সড়কে জমে থাকা ধুলোবালি সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়, গেল ১৫ দিন আগে স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করা হয়। এরপর থেকেই দিনরাত শুরু হয় সংস্কার কাজ। এরইমধ্যে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, “১৬ ডিসেম্বর স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামবে। রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এদিন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকরাসহ নানাভাবে সাজিয়েছি।”
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন বলেন, “সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সকলে যেন শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সে লক্ষে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশপাশের যেসকল জেলা রয়েছে এগুলোও আমাদের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে চলে আসবে। সারাদেশের মানুষ আনন্দঘন পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপন করবেন। এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শঙ্কা নেই।”