জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি নির্বাচনের সময় জানান।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ।
শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে।
এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা প্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে।
এরআগে, সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমাতো ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোবো। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা আছে।
এদিকে সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।
এ সময় শিক্ষার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের বিষয়েও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে গত ১৫ বছরে বাজেট না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চশিক্ষায়। শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিশন গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।