শোবিজ তারকাদের ‍ঈদ

বিডিমেট্রোনিউজ ঈদুল ফিতর উদযাপন কীভাবে করছেন জানতে চান অনেকেই। তাদের জন্য তারকাদের ঈদ উদযাপনের ধারণাটি ‍এখানে তুলে দেওয়া হলো। সবার মতো তারকারাও এবার তাদের প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।

দেখা যাক আমাদের শোবিজ অঙ্গনের তারকারা কে কোথায় ঈদ করছেন :

mehjabin+

 

 

মেহজাবীন চৌধুরী (অভিনেত্রী) 

ঈদ ঢাকাতেই করব। ঈদ উপলক্ষ্যে আব্বু দেশে ফিরেছেন। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করব। আর ঈদের দিন বিকেলে আমাদের বাসায় আমার বন্ধুরা আসবে। ওদের সাথে আড্ডা দিব। মজা করব। এ ছাড়া বাইরে ঘুরতে যাওয়া বা অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সময় বলে দেব।

 

 

purnima+

 

 

পূর্ণিমা (চিত্রনায়িকা) 

এবার ঈদ ঢাকায় করব। ঈদের সারাদিন মেয়েকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে থাকব। চলচ্চিত্র জগতে আসার পর থেকে অনেক সময় শুটিংয়ে অংশ নেয়ার জন্য ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে ঈদ করেছি। তখন মাকে ছেড়ে কাজের জন্য দূরে থেকেছি। এখন ওরকম ব্যস্ততা নেই। মায়ের সঙ্গে থাকতে পারব এতেই আমি দারুণ এক্সাইটেড। ঈদ মানেই তো আনন্দ! এই দিনটাকে রাঙিয়ে তোলার জন্য প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে থেকে ভালো আর কি হতে পারে! ঈদের দিন খুব জাকজমকভাবে সাজি না। সিম্পল সাজে কমফরটেবল ফিল করি। সালোয়ার কামিজ পরব। আর যদি কোথাও বেড়াতে যাই তবে শাড়ি পরব।

polash+

 

 

 

পলাশ (সংগীতশিল্পী) 

বন্ধুদের সঙ্গে ঈদে নিরুদ্দেশ ঘুরে বেড়ানোর দিন তো পেছনে ফেলে এসেছি! অনেক দিন ঈদে প্রিয় জন্ম শহর খুলনায় যাওয়া হয় না। ঈদের পরপর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্টেজ পারফর্ম করতে যেতে হয়। হাতে সময় থাকে কম। এবারো একই অবস্থা। ঈদের পরেই যেতে হবে ইতালি তারপর ইংল্যান্ড। ঈদ করব ঢাকায়। বাবা-মা সন্তানদের সঙ্গে কাটিয়ে দেব দিনটি।

 

 

babu

 

 

ফজলুর রহমান বাবু (অভিনেতা) 

আগে ঈদে ফরিদপুরের বাড়িতে ঈদ করতে যেতাম। বাবা-মা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখন আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। ওখানে বন্ধু-বান্ধব সবাই আছে। ওদেরকে অনেক মিস করি। কিন্তু বাবা-মা যখন ছিলেন তখন মনের তাগিদ আর দায়িত্ব অনুভব করতাম। শত ব্যস্ততা পেছনে ফেলে ছুটে যেতাম। এখন স্ত্রী-মেয়েদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। ওদের সঙ্গেই এবারো ঢাকায় ঈদ করব। বিকেলের দিকে ওদেরকে নিয়ে বাইরে বের হব। আর একসঙ্গে সেমাই তো খাবই। যদিও মিষ্টি খাবার আমার পছন্দ না। কিন্তু ঈদ আসলে কি যে হয়, সেমাই খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যাই। ছোট বেলার অভ্যাস বলা যায় নস্টালজিয়া।

 

 

nuna+

 

 

 

 

 

 

 

 

নূনা আফরোজ (অভিনেত্রী)

ঈদুল ফিতর উদযাপন করব কলকাতায়। সুতরাং এবারের ঈদটা একটু অন্যরকম হবে। সঙ্গে থাকবে ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নাটকের পুরো টিম। দুই তারিখ কলকাতায় আমাদের নাটকের শো আছে। ঢাকায় ফিরব ৯ তারিখে। মাঝের সময়টা ছুটাছুটির মধ্যে থাকতে হবে। তবে ঈদের দিনটি অবশ্যই স্পেশাল। এর আগেও কলকাতায় ঈদ করেছি। তখন যে হোটেলে উঠেছিলাম, বাবুর্চি শুধু আমাদের জন্য সেমাই রান্না করেছিলেন। আশা করছি, এবারো মিস হবে না। ঈদের পোশাক সঙ্গে নিয়ে নিচ্ছি। ওই দিন সালোয়ার কামিজ পরব।

 

milon+

 

 

আনিসুর রহমান মিলন (অভিনেতা)

ঈদ আমেরিকাতে করব। তবে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। লস আঞ্জেলেসে আমাদের যে বাসা আছে এদিন সেখান থেকে একটু দূরে ঈদের নামাজ হয়। সেখান থেকে নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে একটু সেমাই খেয়ে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাব। তবে একটা পরিকল্পনা করে রেখেছি, ঈদের দিন বিকেলের দিকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে লং ড্রাইভে বের হবার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, কি হয়। আশা আছে, পাঁচদিনের সফরে বের হব। লস আঞ্জেলেস থেকে লাস ভেগাসে যাব। আশা করি, খুব সুন্দর ঈদ কাটবে। পৃথিবীর সকল মুসলিমদের জন্য ঈদের শুভেচ্ছা রইল। তাদেরকে অগ্রিম ঈদ মোবারক। মূলত পরিবারের সাথে ঈদ করাটাই আমার আসল আনন্দ।

 

Piya-Bipasha+

 

 

পিয়া বিপাশা (চিত্রনায়িকা) 

বরাবর ঢাকাতেই ঈদ করে থাকি এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না।  ঈদে ঢাকাতেই আছি। ঈদের দিন ঘুম থেকে উঠে রান্না করব।  তারপর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিব। এ ছাড়া তেমন কোনো পরিকল্পনা করিনি।

 

 

 

Ishika-Khan

 

ঈশিকা খান (অভিনেত্রী) 

ঈদে ঢাকায় থাকছি। গ্রামে যাওয়া হচ্ছে না। বিয়ের পর এবার প্রথম ঈদ কিন্তু হাজবেন্ডের সঙ্গে একত্রে ঈদ করতে পারছি না। এটা আসলে আমার জন্যই হচ্ছে না। কারণ কাগজ পত্র এখনো ঠিক হয়নি। যার কারণে ও ঈদে আসতে পারছে না। ঈদের পর আমার শ্বশুর শ্বাশুরি দেশে আসবে। আর ও আসতে পারে। ও নাকি আমাকে সারপ্রাইজ দিবে। ও কিছু বলছেও না।

 

bubli+

 

শবনম বুবলী (চিত্রনায়িকা) 

ঢাকাতেই ঈদ করছি। প্রত্যেক ঈদে সালামিটা ভিষণ মজার বিষয়। আমি প্রত্যেকবারই পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সালামি পেয়ে থাকি। বোনদের মধ্যে সবার ছোট তাই যতই বড় হইনা কেন দুলা ভাইদের কাছ থেকে কখনো সালামি মিস করি না। আব্বু আম্মুর কাছ থেকেও নেই। আর এখন তো আমিও সালামি দেই। আমার ছোট একটা ভাই আছে, ভাগ্নি আছে ওদেরকে সালামি দেই। এবারো এ সবের পুনরাবৃত্তি করব। আসলে এ সবের মজাটাই আলাদা। যা বলে বুঝানো যাবে না। অন্যরকম শান্তি। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার মতো আর কিছু নেই। ঈদের মতো খুশি আর পরিবারের বন্ধনটা যেন সবার মাঝে সারাজীবন থাকে। এটাই প্রত্যাশা করি।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts