বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কার্মেনের বয়স এখন ৮৫৷ কিন্তু বয়সটা যে নিতান্তই একটা সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন কার্মেন৷ ব়্যাম্পের আলো-আঁধারিতে তাঁর হাঁটাচলা, দুই হাতের মুদ্রা, চাহনি – সবকিছুতেই যেন ‘ম্যাজিক’, এক নয়নাভিরাম নস্টালজিয়ার ছোঁয়া৷ হবে না? দীর্ঘ একটা সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে যে তাঁর৷ তিনিই যে বিশ্বের প্রবীণতম সুপারমডেল!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই মডেলিং জগতে প্রবেশ করেন কার্মেন ডেল’অরেফিস৷ তখন তাঁর কী-ই বা বয়স হবে? এই ১৩ বা ১৪৷ তখন থেকেই শুরু৷ এরপর বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে কার্মেনকে৷ কিন্তু তিনি হাল ছাড়ার পাত্রী ছিলেন না৷ একটা সময় শত কষ্ট, দরিদ্রতার মধ্যেও মডেলিং-ই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে, দিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার সাহস৷ আর আজ, সেই ফেলে আসা সময়টাই কার্মেনের সবচেয়ে বড় শক্তি৷
‘‘আমি জীবনের এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যখন আমার মনে হচ্ছে যে এ সময়টা একান্তই আমার৷ গোটা একটা ইতিহাসের সাক্ষী আমি৷ দীর্ঘ একটা সময়ের অভিজ্ঞতা আছে আমার ঝুলিতে৷ আমি এ সময়টা পার হয়ে এসেছি, সময়টার মালিক আমি নিজে৷ তাই তো নিজেকে, আমার ফেলে আসা সময়টাকে নিজের মতো করে উপস্থাপন করতে পারি আমি৷”
গত ১৫ বছরে জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়টা পার করেছেন কার্মেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘বুড়ো আমাদের সকলকেই হতে হবে, মরতেও হবে একদিন৷ কিন্তু ঠিক কীভাবে আমরা বুড়ো হবো, কীভাবে জীবনটা কাটাবো – সেটা তো আমাদেরই হাতে৷ তাই আমি জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই৷”
বলা বাহুল্য, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কার্মেনের এই গল্পে উচ্ছ্বসিত অনেকেই৷ তাই অসংখ্যবার ‘শেয়ার’ করা হয়েছে ভিডিওটি৷
ডয়চে ভেলে