ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়ে উপনির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এর মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েই লোকসভার আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাহুল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভাই গান্ধি দুটি আসনে লড়াই করে দুটিতেই জয় পান। তার একটি এই ওয়েনাড়। অপরটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি। তবে ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। এরপর এখানে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়।
ওয়েনাড় উপনির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সিপিআইয়ের সত্যান মোকেরি ও বিজেপির নভ্যা হরিদাস প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী।
রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক ঘটেছিল অনেক দিন আগেই। বহু নির্বাচনী প্রচারে তাকে দেখা গেছে। তবে আগে কখনও নির্বাচনে লড়েননি তিনি।
গত ২৩ অক্টোবর তিনি কেরালার ওয়েনাড় লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে নামেন প্রিয়াঙ্কা।
গত ১৩ নভেম্বর একাধিক রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভার পাশাপাশি লোকসভার ওয়েনাড় আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ১০ দিন পর শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল আটটায় ভোট গণনা শুরু হয়। দুপুরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা।
ডেকান হেরান্ডের এক প্রতিবেদন মতে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়েনাড় উপনির্বাচনে ৪ লাখ ১০ হাজার ৯৩১ ভোটের ব্যবধানে বিশাল জয় অর্জন করেছেন। গত সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি ৯ শতাংশ কম হওয়া সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কার ভোটের হার ৬৫ শতাংশ।
প্রিয়াঙ্কা যে ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তা গত সাধারণ নির্বাচনে ভাই ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভোটের ব্যবধানকেও ছাড়িয়ে গেছে। গত নির্বাচনে রাহুল নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ভোটের ব্যবধান জয়ী হন। সেখানে প্রিয়াঙ্কার ভোটের ব্যবধান ৪ লাখ পেরিয়েছে।