ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত

বিডিমেট্রোনিউজ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী মৃত্যুদণ্ড দণ্ড কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কারাগার সূত্র জানায়, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান তিন জল্লাদ শাহজাহান, দীন ইসলাম ও শাহীনসহ পাঁচজন শুক্রবার ফাঁসির মঞ্চে মহড়া দিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। নির্দেশনা পেলে ফাঁসি কার্যকরের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবে কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার নাসির আহমেদ  বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়াই ছিল মীর কাসেম আলীর জীবন রক্ষার শেষ সুযোগ। তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না জানিয়ে দেওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে তার ফাঁসি কার্যকর করা যেতে পারে। তার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দেওয়ার পর একটি কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।

ওইদিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার রায় বুধবার সকালে তাকে পড়ে শোনানো হয়।

বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মীর কাসেম আলীর পরিবারের ৯ সদস্য কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।

এসময় তিনি জানান, ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে ফিরে পাওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।

শুক্রবার দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষকে মীর মাসেম আলী জানান তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। তার এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ায় পর ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকল না।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts