আমের বাম্পার ফলনে বরগুনার সেন্টু মিয়ার মুখে হাসি

ইফতেখার শাহীন: মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সেন্টু। অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য। বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের লবনগোলা তার বাড়ি। চাকুরির সুবাদে রাজশাহীতে আমের বাগান দেখে তিনি উৎসাহিত হন। প্রায় ৭ বছর আগে ১ একর ২০ শতাংশ পৈত্রিক জমিতে অভিজ্ঞ আম চাষির পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছ রোপন করেন।

এক মনোরম পরিবেশে আচ্ছাদিত তার আমের বাগান। সেন্টু মিয়ার সাথে আলাপ করে জানা যায়, বাগানে আম্রপলি, ল্যাংড়া ও মল্লিকা এই ৩ প্রজাতির ২’শ আমের গাছ রোপন করেন তিনি। তিন প্রজাতির আমই মিষ্টি এবং সুস্বাধু। দেখা যায়, প্রতিটি আম গাছেই প্রচুর ফলন হয়েছে। ফরমালিন মুক্ত সেন্টু মিয়ার আম ক্রয় করতে হলে আগে থেকেই অর্ডার দিতে হয়। প্রতি কেজি আম বিক্রি করেন তিনি ১’শ ২০ টাকায়। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

এ মৌসূমে প্রায় ৩ লাখ টাকার উর্ধ্বে আম বিক্রি করবেন বলে সেন্টু মিয়া আশাবাদি। তবে, আমের গাছ বড় হলে, ফলন আরও বাড়বে এবং টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি পাবে। বরগুনার কৃষি বিভাগ থেকে এযাবৎ কোন সহযোগিতা বা পরামর্শ পাননি বলে তিনি জানান। তবে, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের অনুপ্রেরনায় মনে সাহস নিয়ে তিনি একাজে সফল হয়েছেন বলে অকপটে তা স্বিকার করেন। তার দেয়া আর্থিক বরাদ্দ পেয়ে আম বাগানের সামনে চলাচলের অযোগ্য রাস্তাটি মেরামত করে ক্রেতাদের চলাচলের উপযোগি করে তোলেন।
কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার মধ্য দিয়ে স্বপ্নের আমের বাগান করে সেন্টু মিয়া মহা খুশী।

Print Friendly

Related Posts