বিডিমেট্রোনিউজ ॥ চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের পর থেকে নিরুদ্দেশ পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বাড়িতে ফিরেছেন। বুধবার দুপুরে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুর বাড়িতে ফিরলেও তিনি কারও সঙ্গে তেমন কোনো কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। তিন মাস আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছেন বাবুল।
মোশাররফ বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, “সে (বাবুল) দুপুরে ফিরে দোতালায় অবস্থান করছেন। তার সাথে তেমন কোনো কথা হয়নি।” তিনি বলেন, “বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি উপরের সিদ্ধান্ত। তবে এর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের প্রায় দেড় মাস পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়ালেও এ বিষয়ে পুলিশ কিংবা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য ছিল না।
তার প্রায় এক মাস পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, এসপি বাবুল চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন; যদিও গুঞ্জন রয়েছে যে ওই পদত্যাগপত্র দিতে তাকে বাধ্য করা হয়েছে। তার ২২ দিন পর মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।
তারপর বিকালে বনশ্রীর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বাবুল। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় শ্বশুর বাড়ির কেউ কিংবা মাগুরায় থাকা তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।
মোশাররফ বলেন, “রাতে সে এক তার আত্মীয়ের বাসায় ছিল, তবে কোন আত্মীয়ের বাসায় ছিল, তা জানি না।”
বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ এবং বাবা ওয়াদুদ দুজনই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক। বাবুলের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াদুদ বলেন, “আল্লাহ পাক ফয়সালা করার মালিক। … দোষী না, তারপরও দোষী করার চেষ্টা হচ্ছে। এখন এটা মেনে নিতে হবে, কোনো উপায় নেই।”
বাবুল চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তার বাবা। এজন্য পরবর্তী কোনো ধাপ থাকলে সেখানেও চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।