বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক || নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৪-০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর শনিবারের এই হারে বাংলাদেশের শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ রইল শুধু কেবল কাগজে-কলমে। দিনের পরের ম্যাচে দুর্বল ভুটানের সঙ্গে আফগানিস্তান ড্র করলেই শেষ হয়ে যাবে সেই হিসেবও।
আরাধ্য জয় পাওয়ার জন্য সেরা একাদশে চার পরিবতর্ন আনে বাংলাদেশ। চোট পাওয়া নাসিরউদ্দিন চৌধূরী, ইয়ামিন মুন্না, নাসিরুল ইসলাম ও সোহেল রানার জায়গায় তপু বর্মন, ওয়ালি ফয়সাল, রায়হান হাসান ও জামাল ভূইয়াকে খেলান কোচ মারুফুল হক। মাঠে এর সুফলও পাওয়া যায়। রক্ষণ সামলে বলের দখল রেখে ঘন ঘনই আক্রমণে যায় মামুনুলরা।
প্রথমার্ধে বলের দখল বেশি রেখে মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যথতায় গোল পায়নি মারুফুলের দল। ২৬তম মিনিটে ডান দিক থেকে ওয়ালির লম্বা করে বাড়ানো বল জাহিদ লাইনের কাছ থেকে হেড করে গোলের সামনে ফেলতে চেয়েছিলেন, তবে বল পোস্টের বাইরের দিকে লাগে।
তিন মিনিট পর প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন শাখাওয়াত হোসেন রনি। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গোলপোস্টের সামনে বল পেলেও সামনে থাকা কেবল গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। বল মেরে দেন তার গায়ে।
৩৬তম মিনিটে বক্সের একটু ওপরে বিপজ্জনক জায়গায় মোনায়েম খান রাজু মোহামেদ হামজাকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় মালদ্বীপ। তবে অধিনায়ক আশফাকের শট পোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়। তবে একটু পরে পেনাল্টি থেকে দলকে ঠিকই এগিয়ে দেন দলটির সেরা খেলোয়াড়।
৪১তম মিনিটে বক্সের মধ্যে ইমাজের শট ওয়ালির হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও আশফাকের জোরাল শট আটকাতে পারেননি বাংলাদেশ গোলরক্ষক। আনন্দে মেতে উঠে বাদ্য-বাজনা নিয়ে ত্রিভান্দ্রামের গ্যালারিতে আসা মালদ্বীপ সমর্থকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। এবার হেমন্তের ক্রসে ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারেননি অধিনায়ক মামুনুল।
৭২তম মিনিটে মিডফিল্ডার জামালকে তুলে নিয়ে স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে নামান বাংলাদেশ কোচ। একটু পর অধিনায়ক মামুনুলের ফ্রি-কিকে বল পেয়ে রনি ঠিকমতো শট নিতে না পারায় আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়।
শেষ দিকে রনির জায়গায় জুয়েল রানা, ওয়ালির বদলে সোহেলকে নামান বাংলাদেশ কোচ। ৮৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের হাতে বল লাগলে বক্সের একটু ওপরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ কিন্তু জাহিদ রক্ষণ দেয়ালে মারেন।
৮৮তম মিনিটে মামুনুলের কর্নারে মালদ্বীপের এক ফুটবলার হেড করে ফেরালে বক্সের বাইরে পেয়ে যান সোহেল। এই মিডফিল্ডারের তড়িৎ ভলি মালদ্বীপের এক ফুটবলারের মাথা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্বস্তি কেড়ে নেয় মালদ্বীপ। সতীর্থের বাড়ানো বলে নিখুঁত ব্যাক ফ্লিকে বাংলাদেশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বদলি ফরোয়ার্ড নিয়াজ হাসান।
যোগ করা সময়ে আর এক গোল করে গ্রুপের টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করে নেয় মালদ্বীপ। রায়হানের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে প্রতিআক্রমণে যায় ২০০৮ সালের সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়নরা। বদলি ফরোয়ার্ড নাশিদ আহমেদ আয়েশী শটে সোহেলকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ৩-১ করে দেন।