বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খুন হলেন ভোলার মেয়ে জেসমিন আক্তার টুম্পা। তিনি ছিলেন মোহাম্মদপুরের একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয় কর্মী। দোকানে ঢুকে জেসমিন আক্তারকে (২৬) হত্যা করেছেন সাবেক স্বামী সবুজ শেখ। সিসিটিভি ফুটেজের চিত্র দেখে সবুজকে খুনি হিসেবে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ।
গত রোববার বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর রাজিয়া সুলতানা সড়কে ‘নব্য’ নামের থ্রিপিসের দোকানে ঢুকে জেসমিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, দোকানের ভেতরে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে জেসমিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পুরো দৃশ্য ধরা পড়েছে।ওই ফুটেজ দেখে সবুজকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামালউদ্দীন মীর বলেন, জেসমিনের খুনের ঘটনায় তার বাবা আবুল বাশার হাজারী হত্যা মামলা করেছেন।সিসিটিভির ফুটেজে আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক বলেন, পোশাক দোকানটির মালিক ফাহিম। পোশাক দোকানটি দুই মাস আগে চালু হয়েছে। এখানে শুধু নারীদের থ্রি-পিস বিক্রি করা হয়। দোকানে দু’জন নারী বিক্রয়কর্মী ছিলেন। একজন টুম্পা অন্যজন ফারিয়া।
নিহত টুম্পার গ্রামের বাড়ি ভোলার কাঁঠালিয়া গ্রামে। তার বাবা আবুল বাশার ভাড়ায় মাইক্রোবাস চালান। বাবা-মায়ের সঙ্গে জেসমিন সাভারে থাকতেন।দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার বড় জেসমিন। তার সঙ্গে সবুজ শেখের বিয়ে হয়েছিল।
ওসি জামালউদ্দীন মীর জানান, ছয় মাস আগে সবুজকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন জেসমিন। মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা সড়কে নব্য নামের কাপড়ের দোকানে সাত হাজার টাকা বেতনে দুই মাস আগে কাজ নিয়েছিলেন তিনি।
ওসি বলেন, তালাক দেয়ার কারণে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে জেসমিনকে দোকানে ঢুকে নৃশংসভাবে খুন করে সাবেক স্বামী সবুজ।