ধর্ষক যখন স্কুলের দপ্তরী

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বড় ভাইকে দুপুরে টিফিন দিতে বড় ভাইয়ের স্কুলে গিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাত্র নয় বছরের শিশুকন্যাটি। শিক্ষকদের ধর্মঘটে ক্লাস বন্ধ এবং স্কুল ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে শিশুটিকে একটি রুমে আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্কুলের দপ্তরী।

শিশুটি চিৎকার শুরু করলে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে দেয়ালে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে, গলায় ছুরি চালিয়ে, সেফটিক ট্যাংকে নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করে দপ্তরী। রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে।

রোববার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে স্কুলের সেফটিক ট্যাংক থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা। দপ্তরী আপন চন্দ্র (৫৫) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নয় বছরের শিশুটি স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। তার বড় ভাই কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। ওই ছাত্রী তার বান্ধবীকে নিয়ে দুপুরে ভাইকে টিফিন দিতে বিদ্যালয়ে যায়। শিক্ষকদের ধর্মঘটে বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ থাকায় দপ্তরী আপন চন্দ্রকে তার ভাই কোথায় আছে জানতে চায়।

দপ্তরী ভাই দোতালায় রয়েছে জানিয়ে কৌশলে শিশুটিকে দোতালার নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়।সেখানে শিশুটি ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে আপন চন্দ্র শিশুটির গলা টিপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এই সময় শিশুটি নিস্তেজ হয়ে গেলে মৃত ভেবে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটি বাড়ি না ফেরায় অভিভাবকরা স্কুলে খুঁজতে আসে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সেফটিক ট্যাংকে শিশুর গোঙ্গানির শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে শত শত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে দপ্তরী আপন চন্দ্রকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে আপন চন্দ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দিন জানান, আপন চন্দ্র শিশুটিকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যার চেষ্টার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts