বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ভালোবাসা আসলে কি? যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ডেইলি মেইল এই প্রশ্নটি নিয়েই হাজির হয়েছিলেন মানুষের মনস্তাত্বিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা ‘মাই ব্রেস্ট’ এর একদল গবেষকদের কাছে।
গবেষকদের মতে, বর্ধিত হৃদস্পন্দন, ঘর্মাক্ত মুখমন্ডল এবং ক্ষুধামন্দ্য-এসব কিছুই একজন মানুষের প্রেমে পড়ার লক্ষণ।
ভালোবাসা বলতে শুধু অবিরাম একটি সম্পর্কে জড়ানোকেই বুঝায় না। সেখানে বিভিন্ন রাসায়ন, নিউরন এবং হরমোন অনুক্রমে একসঙ্গে কাজ করে যা আমাদেরকে অন্য কারো প্রতি আসক্ত হতে সাহায্য করে।
‘মাই ব্রেস্ট’ এর একদল গবেষকদের একটি ইনফোগ্রাফিক তৈরি করেছেন যাতে ভালোবাসার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে । ইনফোগ্রাফিক অনুযায়ী ‘যখন দুইজন মানুষ একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে তখন তাদের কাছাকাছি হওয়ার ইচ্ছাও বৃদ্ধি পায়।’
মাই ব্রেস্ট এর গবেষকরা ব্যাখ্যা করেন যে, শারীরবৃত্তীয় কিছু লক্ষণ আছে যেমন-হৃদস্পন্দন, ঘাম এবং বর্ধিত শ্বাস শক্তি। আপনি যখন কারো প্রতি আসক্ত হন তখন নিউরোট্র্রান্সমিটার নরপাইনফ্রাইন এবং হেনিলেথিলেমিন (মটর) কারণে তার প্রতি আপনার ফোকাস অতিরিক্ত হয়।
কিন্তু যদি কোনো কারণে আপনার এই সম্পর্ক ব্যর্থ হয় তখন এই রাসায়নিক উপাদানের মাত্রাও কমে যায় যা আপনার মনটা খারাপ হয় এবং আপনার দুঃখের মত কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষকরা বলেন, ‘প্রেম একটি শক্তিশালী আবেগ যা সর্বজনীনভাবে মানুষের দ্বারা অনুভূত হয়। তা সত্ত্বেও আমাদের এই অনুভূতির কারণ সবচেয়ে রহস্যময় এবং এখনো অধরা রয়ে গেছে আমাদের কাছে।