এক.
তুমি কি জানো,
ভালোবাসা কোন ঠিকানায়
কতদূর,
কোথায় থাকে?
আমার মনে হয়, তুমি জানো-
ভালোবাসা থাকে, ঠিক-
তোমার বালিশের পাশে।
দুই.
এই ভালোবাসা, পাখির মতো
কিচিরমিচির প্রতিক্ষণ হাঁটে
শব্দের মিছিল।
ভালোবাসা রঙিন মাছের মতো
সাঁতার কাটে হাওর নদী বিল।
ভালোবাসা রাতের ঐ তারাদের মতো
অবারিত ঝিলমিল,
ভালোবাসা হাসে শিশুদের মতো
প্রাণখোলা খিলখিল।
চলো যাই,
মাটি ও মানুষের পথে
এমন ভালোবাসাতেই
হারাই, সুখে অনাবিল।
তিন.
প্রজাপতির মতো কে উড়ে?
কে উড়ে যায়, কাছে ও দূরে?
যে ভালোবাসা দিয়েছে তোমারে
হৃদয়খানি উজাড় করে।
চার.
ভালোবাসার কী কোনো সকাল আছে,
আছে কোনো বিকাল?
অথবা, দুপুর রাত্রি।
ভালোবাসার সময় জ্ঞান নেই
কুড়ি, ফুল, ঝরাপাতা
সবখানেই ভালোবাসার পাঠশালা।
পাঁচ.
জানি বুকের ভেতর ব্যাথা আছে
ছোট বড় চিকন চিকন ব্যাথা আছে
অথচ, তুমি কাছে থাকলে
সব ব্যাথাই ধীরে ধীরে
চিকন হতে হতে মিলিয়ে যায়।
ছয়.
ভালোবাসা নিদ্রা যায় না
থাকে না তার অন্ধকার দিক-
নিজস্ব আলোয় আলোকিত হয়ে
চক্রাকারে ঘুরতে থাকে
প্রাণে প্রাণে মহাবিশ্বে।
ভালোবাসা ঘুমায় না, ঘুম থেকে জাগায়
আশার বাতি জ্বালিয়ে স্বপ্ন দেখায়।
সাত.
আমাদের রেলগাড়িটার নাম ভালোবাসা
শেকলের বন্ধন নিয়ে ছুটতে থাকে
স্টেশন থেকে স্টেশনে,
সকাল-বিকাল, রাত্রি-দিন বিরামহীন।
ভালোবাসা তার ভেজা রুমাল উড়াতে উড়াতে
পৌঁছে দেয় সবাইকে,
তার নিজস্ব ভালোবাসার ঠিকানায়।
আট.
একটি শিশুকে একমুঠো ভালোবাসা দাও। সে তোমাকে
বুকের মধ্যে বাবুই পাখির বাসা বানিয়ে প্রতিদিন সাজাবে।
নয়.
অবিরাম ভালোবাসায় থাকো। ভালোবাসতে ভালোবাসতে যদি মিহিসূক্ষ কম্পমান পুলসেরাতের পুলে
কেউ দাঁড়ায়, সেই রেলগাড়িটা পৌঁছে দেবে জান্নাতের বাগিচায়।
দশ.
একমাত্র ভালোবাসাই জানান দেয়,
পৃথিবীর বুকে জীবন সবচেয়ে সুন্দর।