স্বঘোষিত চতুর কাক নগরের বাশি পঁচা আবর্জনা
ভক্ষন শেষে রৌদ্রে হেলান দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে,
দুই ঠোঁটে লেগে থাকা আবর্জনার দুর্গন্ধ নিয়ে
বাতাসের নিঃশ্বাসে লেপন করে কলঙ্ক কালিমা।
নিঃশ্বাস নিঃসৃত পাখিরা ধু-ধু মাঠের বাতাসে,
আকাশের নীলিমায় আসর সাজায় কলঙ্ক মুছতে,
চাঁদ-সূর্য-নক্ষত্র-জ্যোৎস্না বিলাসী মনে ।
উচ্ছিষ্ট ভক্ষণের উষ্ণ উচ্ছ্বাস আক্রান্ত স্বঘোষিত
চতুর কাক- কতটা অসুস্থের সীমা অতিক্রান্ত হলে
ময়ূরের নৃত্য সৌন্দর্যে নিজের চতুরতা জাহির করতে
নির্লজ্জ নগ্নতা আশ্রিত হয়ে তৃপ্তিতে দুর্গন্ধ ছড়ায় ।
খাঁটি শুয়োর
ঘোড়ার আস্তাবলে, গোচারণ ভূমিতে- শুয়োরের
নগ্ন দৃশ্যে মায়ের ওলানে মুখ লুকায় গো বাছুর,
লোকালয় ছেড়ে যে ঘোড়া আস্তাবলে আশ্রিত ছিল
গরুর স্বভাব অর্জনে আজ সে খাঁটি শুয়োর ।
গরু, ঘোড়া আর শুয়োরের সাথে আমি যে মানুষের
পার্থক্যের অংক কষি তা একেবারে অযাচিত নয়।
আবর্জনায় বেড়ে উঠা কীটপতঙ্গ বিশুদ্ধতাকে
অশুদ্ধ ভাববে কিংবা খাপ খাইয়ে নেয়া সময় সাপেক্ষ।
মানুষ সময়কে ধারণ করে পরিপক্ক হয় প্রস্তুত হয়-
পশুত্ব গোছাতে কিংবা মানুষের স্বরূপ অর্জন করতে
আর আস্তাবল, চারণভূমি, আবর্জনা মাড়িয়েছে যারা
মানুষের সাথে দ্বিচারণ নীতিতে- আজ তারাই খাঁটি পশু।