বদরুজ্জামান জামান
.
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার ফুট উপরে
যখন আমরা সাদা মেঘ ভেদ করে উঠছিলাম
তখন মেঘেরা আমাদের অভিবাদন জানিয়েছিল
কারণ আমরা ছিলাম তীর্থযাত্রী ।
আকাশযান থেকে দেখছিলাম মেঘের দেশ-
কল্পনাঘোর দেহ-মন আর অভিভূত চিত্তে
মেঘের ডানায় ভর করে ভাসছিলাম ।
মেঘের ভাসমান বিশুদ্ধ শরীর আমাদের বহনকারী
আকাশযান ছুঁয়েছিল ।
বৃষ্টি হওয়ার আগে মহাশূন্যে ভেসে থাকা মেঘ
সৃষ্টার কুদরত আর রহমতের নিদর্শন,
স্রষ্টার আনুগত্যে অস্তিত্ব বিলিয়ে দেয় বৃষ্টি হয়ে সৃষ্টির জন্য।
অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব আমাদের গন্তব্য দীর্ঘ করেছিল,
ক্লান্তি তন্দ্রা বয়ে বিনিদ্র দিবা-রাত মাড়িয়ে
যখন দেখছিলাম ভোরের সূর্যোদয় জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে-
নিমিষেই সকল ক্লান্তি ঝরে গিয়েছিল মরুর বালি পাথরে।
অনুরনিত চিত্ত আর মনোজ সুখে বলছিলাম-
“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা
লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা
ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্” ।