রাজধানীর জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে খন্দকার মাহমুদুল হাসানের ৬০তম জন্মোৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১৪ জুলাই বিকালে মাহমুদুল হাসানের জন্মোৎসব, সংবর্ধনা ও গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফোকলোরবিদ ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, কথা সাহিত্যিক ও শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন এবং শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মাহমুদুল হাসান তার বক্তব্যে শৈশব স্মৃতির পাশাপাশি তার লেখনীর প্রেক্ষাপট ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অদ্যাবধি তার ১৫০ এর অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে পাঠকদের জন্য আরো সমৃদ্ধশালী লেখা প্রকাশ করার আশা ব্যক্ত করেন।
শিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রফিকুল হক দাদু ভাই , মইনুল আহ্সান সাবের , আসলাম সানী , সুজন বড়ুয়া , আমীরুল ইসলাম, কবি কাজী রোজী প্রমুখ।
খন্দকার মাহমুদুল হাসান শিশুসাহিত্যিক ও গবেষক হিসেবে সমাদৃত। চার দশক ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। শিশুসাহিত্যের পাশাপাশি তার লেখা ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রন্থসমূহ প্রশংসিত হয়েছে। শিশুসাহিত্যে তিনি দুইবার অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সাহিত্য সংঘ সম্মাননা, নুরুল কাদের সাহিত্য পুরস্কার, ভারতের যতীন্দ্র মোহন রায় স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন।
২৫ আগস্ট ১৯৫৯ সাল। এ দিনটিতে জন্ম নেন দেশের অন্যতম শিশুসাহিত্যিক খন্দকার মাহমুদুল হাসান। তার
খন্দকার মাহমুদুল হাসানের জন্ম রংপুরে। কিন্তু পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। পিতার নাম খন্দকার আজমল হক। আর মায়ের নাম রওশন আরা বেগম।
খন্দকার মাহমুদুল হাসান শিশুসাহিত্য রচনার সাথে সাথে ইতিহাস নিয়েও গবেষণা করেন। ইতিহাস নিয়ে তার অসংখ্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। হাসির গল্প, রহস্যোপন্যাস, ইতিহাস ও বিজ্ঞান নিয়ে ছোটদের জন্য কাজ করেন তিনি। খন্দকার মাহমুদুল হাসানের পাঠকপ্রিয় ও বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো দুঃসাহসী মুক্তিসেনা, আজব দ্বীপে খোকা বাবু, সুন্দরবনে জাহাজরহস্য, নেপালরহস্য, বাংলাদেশ কোষ ১ ও ২, মানব সভ্যতার ইতিকথা, বাংলাদেশের প্রথম ও প্রাচীন মুদ্রা, চলচ্চিত্র, প্রাচীন বাংলার পথে প্রান্তরে অন্যতম।
কর্ম জীবনে তিনি ব্যাংকার।
-শাহ মতিন টিপু