মেট্রো নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিশেষণ কী হতে পারে? ডটার অব বর্ডারস। কারণ, তিনি নিশ্চিতভাবেই এক অনন্যসাধারণ সীমান্তজয়ী। কারণ, তাঁর প্রথম মেয়াদে মিয়ানমারের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির পূর্ণতা পায়। ভারতের মতো বর্মি পার্লামেন্টও স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থন করেছিল।
শেখ হাসিনা এই পর্বে ক্ষমতায় এসে ভারত ও মিয়ানমার উভয়কে বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতিতে বিহ্বল করে দিয়ে জাতির জন্য অবিস্মরণীয় সমুদ্রজয় এনে দিয়েছেন। এরপর ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থনটাও সম্পন্ন করলেন।
সীমান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকার যে নীতি নিয়েছিল, তা মোটামুটি সবগুলো সরকার সমর্থন করেছে। ভারতীয় বিলের প্রস্তাবনায় চুয়াত্তরের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি ও ২০১১ সালের প্রটোকল ছাড়াও ১৯৮২ ও ১৯৯২ সালের সীমান্ত চুক্তির উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সমুদ্র জয়ে শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা নিরঙ্কুশ, এটা তাঁর অমলিন কীর্তি হয়ে থাকবে।
কেবল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য নয়, নরেন্দ্র মোদি বিশ্ববাসীর কাছে একটি শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সমুদ্রকে ঘিরে চীনের সঙ্গে জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের সম্পর্ক যখন খাবি খাচ্ছে, ভারত নিজেও ভূখণ্ডগত বিরোধে পীড়িত, তখন বাংলাদেশ, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে ভূখণ্ডগত বিরোধমুক্ত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি করল নতুন ইতিহাস।
আজ ৬৮ বছর পরে দুই পারের প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ ‘স্বাধীনতা’ পেল। এটা মানতেই হয় যে শেখ হাসিনার জন্যই আমরা আজ ভূখণ্ডগত বিরোধমুক্ত একটি জাতিরাষ্ট্রে পরিণত হতে পেরেছি। এই সাফল্যে সবাইকে ছাপিয়ে শেখ হাসিনা। সীমান্ত জয়ে জনগণের নেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর যে সত্তা তা মানবিক ও রাষ্ট্রনায়কোচিত।