সকল মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার হচ্ছে

জ. ই. বুলবুল: দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বলেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।

আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত “মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট রিভিউ সংক্রান্ত সভায়” সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।

সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটির কাজ ২০২২ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কিডনী রোগ চিকিৎসা করা নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা অনেকাংশেই দূর হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৯০ লক্ষের মতো মানুষ কিডনী রোগে ভুগছে। প্রতিবছর ১৭.৩% হারে মানুষ ক্রনিক কিডনী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের হাসপাতালগুলোতে কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপিত হলে একদিকে যেমন ঢাকায় চিকিৎসার চাপ কমে যাবে, অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষের কিডনী রোগ চিকিৎসার বড় ধরণের অগ্রগতি আসবে।”

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২০ ভাগ রোগীর কিডনী ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে। কিডনী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৪০ হাজার রোগীর বর্তমানে সাপ্তাহিক ডায়ালাইসিস প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলে মাত্র ৬ হাজার মানুষের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের মেডিকেল কলেজ পর্যায়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ২২ ডায়ালাইসিস ইউনিটে ১১০০ বেডের মাধ্যমে এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ৪৪টি ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে ৪৪০ বেডের সর্বমোট ১৫৪০ বেডের ডায়ালাইসিস সেবা সরকারি পর্যায়ে সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে। এই প্রকল্পের ১৫৪০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৩,১২০ বার ডায়ালাইসিস করা সম্ভব। প্রতি বেডে দৈনিক ৩/৪ বার ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হবে বলে সভায় জানানো হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি এর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, হাসপাতাল অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব, মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনাসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রকল্প সমূহের পরিচালকবৃন্দ।

Print Friendly

Related Posts