বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নয়াবাদের বাসিন্দা রাজ্যের দশম করোনায় আক্রান্তের থেকে আরও দুজনের শরীরে ছড়িয়েছে মারণ এই ভাইরাস। এমনটাই মনে করছেন ডাক্তাররা। কারণ এই মুহূর্তে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি নয়াবাদের প্রৌঢ় গত কয়েকদিন আগেই এগরায় একটি বিয়েবাড়িতে গিয়ে ছিলেন। সেই বিয়ে বাড়িতে একাধিক মার্কিন নাগরিকও উপস্থিত ছিলেন।
ডাক্তারদের অনুমান, সেখানে এক আমেরিকা ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন নয়াবাদের ওই প্রৌঢ়। আর সেখান থেকেই ওই বৃদ্ধ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। আজ শনিবার যারা নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরাও ওই বিয়েবাড়িতে ছিলেন। দুই জনেই মহিলা বলে জানা যাচ্ছে। আর সেখান থেকেই তাঁদের শরীরে ভাইরাস আক্রমণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আগে থেকেই ওই বিয়েবাড়ির সমস্ত নিমন্ত্রিতদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পর্যবেক্ষণেও রাখা হয়েছে অনেককে৷ এই দুই মহিলাকেও এগরার একটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল৷ সেখান থেকেই তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়৷ সেই পরীক্ষার রিপোর্টই পজিটিভ এসেছে৷ ওই বিয়ে বাড়িতে থাকা বাকি নিমন্ত্রিতদের উপরেও কড়া নজর রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলা প্রশাসন৷ পাশাপাশি এগরার ওই বিয়ে বাড়িতে কার কারা ছিলেন তাঁদের সবার শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়েই বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ডাক্তারদের সন্দেহ হওয়াতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। নাইসেডে করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের কোনও রেকর্ড নেই।
কিন্তু তিনি মেদিনীপুর তার এক আত্মীয় বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথি। সেখান থেকেই ভাইরাসের সূত্রপাত। আর সেখান থেকেই আজ এক বৃদ্ধা এবং এক প্রৌঢ়ার শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলল৷ আক্রান্ত এক বৃদ্ধার বয়স ৭৬৷ করোনা আক্রান্ত হওয়া আরও এক প্রৌঢ়ার বয়স ৫৬৷
অন্যদিকে এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আরও এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। সব মিলিয়ে এদিন বাংলার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৮।