করোনায় দেশে আক্রান্ত ৪৮২, মৃতের সংখ্যা ৩০

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনায় দেশে ২৪ ঘন্টায় আরও ৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮২ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসময় যুক্ত হন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও বাসা থেকে যুক্ত হয়ে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপন করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক জীবন থমকে দাঁড়িয়েছে। ‘সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়’ কাজেই আগামী কয়েকটা দিন কষ্ট করুন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে ও আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করতে জনগণকে ঘরে থেকে সুস্থ থাকতে অনুরোধও জানান।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু ডাক্তার, নার্স, গণমাধ্যমকর্মী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের সুস্থতা কামনা করেন।

বুলেটিনে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৮ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮২ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নতুন করে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০। নতুন ৩ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।

তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন ও নারী ১০ জন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ঢাকায় ১৪ জন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারায়ণগঞ্জে ৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৫ জন।

ডা. ফ্লোরা জানান, যে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এরমধ্যে ২ জন ঢাকার বাইরের এবং ১ জন ঢাকার বাইরের। এদের বয়স যথাক্রমে ৩৮, ৫৫ ও ৭৪ বছর। সুস্থ হওয়া তিনজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের বয়স যথাক্রমে ২৬, ৫৭ ও ৫৫ বছর।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আমাদের মোট আক্রান্ত ৪৮২ জনের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী সর্বোচ্চ সংখ্যক শতকরা ২২ ভাগ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৯ ভাগ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যেও ১৯ ভাগ। আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ পুরুষ ও ৩০ ভাগ নারী। ৫২ শতাংশই ঢাকা মহানগরীর। মহানগরী বাদ দিয়ে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত ৩৫ শতাংশ। অবশিষ্ট ১৩ শতাংশ দেশের অন্যান্য বিভাগের।

Print Friendly

Related Posts