জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রীদের আনাগোনায় মুখোরিত থাকে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ টি জেলার হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হয় এই নৌরুট দিয়ে। তবে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বিপাকে রয়েছে লঞ্চ ব্যবসায়ী ও এর সাথে জড়িত শ্রমিকেরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চলাচল শুরু করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। তবে যাত্রী না থাকায় এখনো মন্দা সময় যাচ্ছে লঞ্চ ব্যবসায়ীদের। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী নৌরুট পারাপার হলে এখন প্রতিদিন পারাপারের যাত্রী সংখ্যা হাজারের নিচে।
এতে করে কোন রকমে লঞ্চের জ্বালানি খরচ উঠলেও স্টাফ খরচ নিয়ে হিমশিম অবস্থায় লঞ্চ মালিক ও এর সাথে জড়িত শ্রমিকেরা। দিন দিন যাত্রী সংখ্যা কমে আসছে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায়। এতে করে বিপাকে রয়েছে লঞ্চের সাথে জড়িত কয়েক’শ শ্রমিক।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় দেখা মিলে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা অপেক্ষামাণ কিছু লঞ্চের। করোনা থেকে যাত্রীদের নিরাপদে রাখতে লঞ্চঘাটে জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ এর দুইটি জিবানুনাশক অটো স্প্রে মেশিন রয়েছে। তবে সেটি ব্যবহারে খুব একটা আগ্রহী নয় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঘাট এলাকায় আগত যাত্রীরা।
আব্দুল সাত্তার বেপারী নামে লঞ্চের এক স্টাফ জানান, করোনার জন্য দুই মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অর্ধেক বেতন পেয়েছেন তিনি। পরে লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও যাত্রী না থাকায় মন্দা সময় যাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ৭/৮ টি সিঙ্গেল ট্রিপ হলেও এখন ট্রিপ হয় দুইটি। এতে করে খুব হিমশিম অবস্থায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার যাত্রী পাটুরিয়া লঞ্চঘাট হয়ে নৌরুট পারাপার হতো। এখন প্রতিদিন নৌরুট পারাপারের যাত্রী সংখ্যা হাজারেরও কম। অনেকটা যাত্রী শূণ্য প্রায় পাটুরিয়া লঞ্চঘাট।
এতে করে শুধুমাত্র লঞ্চের জ্বালানি খরচ উঠলেও স্টাফদের খরচ নিয়ে বিপাকে লঞ্চ মালিকেরা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ২৪ টি লঞ্চ রয়েছে। তবে প্রয়োজনে লঞ্চ চলাচলের সংখ্যা উঠানামা করে বলেও জানান তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।