কে এইচ কে লিমিটেডের চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফডাঙ্গা উপজেলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, কিশোর গ্যাং প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-মামলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কে এইচ কে লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল খন্দকার এই অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রতি বছর সরকারকে প্রচুর টাকা ট্যাক্স প্রদান করি। আমাকে ভূমি দখল, হামলা ও জায়গা থেকে উচ্ছেদের প্রতিকার চাইতে হচ্ছে।
এসময় তিনি বিএনপি নেতা নামধারী খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) ও তার ছোট ভাই খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির) এর ত্রাসের রাজত্ব থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি’র হাই কমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফডাঙ্গা উপজেলায় চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, কিশোরগ্যাং প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল, সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সাবেক এমপি কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির)। থানায় মামলা করতে গেলেও তাদের ভয়ে মামলা নিতে সাহস পায়নি পুলিশ প্রশাসন। বরং অভিযোগকারী পরিবারকে থাকতে হচ্ছে ভয়ভীতির মধ্যে।
তিনি বলেন, তাদের দুই ভাইয়ের কর্মকান্ড নিয়ে রিপোর্ট করায় আব্দুলা তুষার নামে একজন সংবাদকর্মী মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের ভয়ে এখন এলাকা ছাড়া।
এসবের প্রতিকারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর দৃষ্টি আকর্ষনেই এই সংবাদ সম্মেলন।
কে এইচ কে লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলেন, বোয়ালমারীর মহিশালায় আমার দলিলকৃত পুকুরসহ দশ একর ৫৮ শতাংশ জমি, রীতিমত যার খাজনা পরিশোধ করে আসছি। সে জমিও এখন এই দুই ভাইয়ের দখলে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর এই দুই ভাই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
গত দেড় মাস আগে আমার বনানীর অফিসে এসে আমাকে বলে যে, আমি আগামী নির্বাচনে বিএনপি পক্ষে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচন করবো। বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা তিন থানার কর্মীদের আমারই দেখতে হয়। তাই আমার কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অসম্মতি জানাই। তারই কিছুদিন পর দুই ভাই লোকজনসহ এসে আমার জমি-পুকুর দখল করে। এসময় ৩০ লক্ষ টাকার মাছ পুকুরে চাষাবাদ অবস্থায় ছিল। আমাদের কোম্পানির তিনটি সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে যায়।
আব্দুল আউয়াল খন্দকার জানান, এরপর থেকে দুই ভাই তাদেরকে হুমকিধমকির মধ্যেই রেখেছে। কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী দিয়ে আমার ভাতিজা ও অফিস স্টাফদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের আহত করেছে। থানায় মামলা করতে গেলে তাদের ভয়ে পুলিশ মামলা নিতে ভয় পায়। অবশেষে অভিযোগ দেয়া হলেও নাই কোন পুলিশি পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে তিনি সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে আইনি সহযোগিতা কামনা করেন।
অসিত/ঢাকা