মো. রাসেল হোসেন: করোনার তান্ডবে সামাজিক দুরুত্বের পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানেও। ফলে প্রশাসনের পরামর্শে স্থগিত করা হয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় ও দেশের সর্ব বৃহৎ যশোমাধবের ধামরাইয়ের ৪শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা। দেশের সর্ববৃহৎ ধামরাইয়ের রথযাত্রাও হাজার হাজার মানুষের সমাগম ও উৎসব এড়িয়ে গুটি কয়েক পুজারীর উপস্থিতিতে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। অতৃপ্তি নিয়ে এবার ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন তারা।
দেশে-বিদেশ থেকে ভক্ত অনুরাগীরা ছুটে আসে পূণ্যের আশায়। তবে করোনার প্রভাবে আজ অনেকটাই নিশ্চুপ নি:শব্দে পালন হচ্ছে দিনটি। প্রশাসেনর সঙ্গে আলোচনা শেষে সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধামরাইয়ের যশোমাধবের মন্দিরে সারাদিন থাকছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। রথ টানা না হলেও, ভক্ত-অনুরাগীদের ছাড়াই পূজারীরা যশোমাধবের রথে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। আক্ষেপ থাকলেও, আগামীর প্রত্যাশায় ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানালেন পূজা কমিটির আয়োজকরা।
ভক্তরা জানান, রথ টানার সময় হাজার হাজার নর-নারীর উলুধ্বনির সেই আনন্দঘন মূহূর্ত নেই। অতৃপ্ত মন নিয়ে ভক্তরা ছুটে যাচ্ছেন মন্দিরে। পূণ্যের আশায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দেবতার জন্য চিনি কলা তুলে দিচ্ছেন পূজারীর হাতে।
শিশুরা জানায়, মাসব্যাপী উৎসবের মেলা নেই। দেখা যাবে না রথের টান। তাই আমাদের মন ভালো নেই। এবার আত্নীয়-স্বজনরাও আসবে না। তাদের সঙ্গে দেখা হবে না।
এ বিষয়ে ধামরাই যশোমাধব রথযাত্রা উৎযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল জানান, অপেক্ষায় থাকলেও, আগামীর প্রত্যাশায় ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে পৃথিবীতে সুখ শান্তি বিরাজ করে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী রথ পুড়িয়ে দিলে সে বছর ১ম বার ধামরাইয়ের এই ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার করোনা ভাইরাসের কারনে ২য় বারের মতো রথযাত্রা উৎসব আয়োজন স্থগিত করা হলো।