১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম সামছুন্নেছা আরা আরজু মনিকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা।
শেখ ফজলুল হক মনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক ও জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৬০ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন।
শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৬২-৬৩ সালের মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাকিস্তান দোসর মোনায়েম সরকার তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ডিগ্রী কেড়ে নেয়। তিনি দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাদেশ টাইমস এবং বিনোদন পত্রিকা সাপ্তাহিক সিনেমার সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে শেখ মনির জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিসহ সকল শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ, দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় সভাপতিত্ব করবেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এছাড়াও শেখ মনির জন্মদিন উপলক্ষে ৫ ডিসেম্বর শনিবার ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হল, উত্তরা রাজলক্ষ্মীর সামনে, মিরপুর-১০ গোল চত্বর এবং ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক, যাত্রাবাড়ী গোল চত্বর, আজিমপুর বাস স্ট্যান্ড, কমলাপুর রেল স্টেশন সংলগ্নে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে বিনামূল্যে মাক্স বিতরণ করা হবে।