ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ায় পরীমনির স্বস্তি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বনানীর ১৯/এ নম্বর রোডের একটা বাড়ি। এ বাড়িতেই থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই বাসা থেকেই ৮ জুন বোনসহ বেরিয়েছিলেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর এ বাসাতেই আবার ফিরেছিলেন। এ বাসায় বসেই রোববার রাতে সংবাদসম্মেলন জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন পরীমনি।

সোমবার (১৪ জুন) বাসার সামনে গিয়ে দেখা যায় একটা পুলিশ ভ্যান। তাতে চারজন পুলিশ সদস্য। বনানী থানা থেকে এসেছেন তারা। রোববার রাত থেকেই পালা করে বাড়িটা পাহারা দিচ্ছে পুলিশ।

সোমবার সকালে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরীমনি। দুপুরের মধ্যে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করে পরীমনি বলেন, ‘এত দ্রুতই প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন ভরসা পাচ্ছি। নিশ্চিন্ত হলাম। বাঁচতে পারব। বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এবার মামলা হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সোমবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মাদক মামলার অন্য আসামিরা হলেন নাসির উদ্দিন মাহমুদের দুই রক্ষিতা লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯) এবং অমির গার্লফ্রেন্ড নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি দায়ের করেছেন।

এদিকে ঢাকা বোট ক্লাব কর্তৃপক্ষ নাসির ইউ মাহমুদকে কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বহিষ্কার করেছে। সোমবার (১৪ জুন) বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির সভাপতি ড. বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় কমিটির আরো আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে ক্লাবের উপদেষ্টা রুবেল আজিজও সভায় অংশ নেন।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি এবং নাসির ইউ মাহমুদকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকটিতে নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শাহ এস আলমের ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত করাও সিদ্ধান্ত হয়। শুধু তাই নয়, এ অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বোট ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে।

সভায় বলা হয়, নাসির ইউ মাহমুদ ক্লাবের নিয়ম না মেনে নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিথিকে ক্লাবের ভিতরে নিয়ে এসেছিলেন। যা ক্লাবের নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্হী।

ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডের সচিব লে. কমান্ডার (অব.) মো. তাহ্সিন আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

Print Friendly

Related Posts