ফকির ইলিয়াস এর তিনটি কবিতা

পতঙ্গদের প্রণয়
…………………………
ভাবি, বনবাসের প্রতীক হবো। নেবো সকল সৎকারের
ভার।আমার যা কিছু সঞ্চয়, সবকিছু বৃক্ষদের মাঝে
বিলিয়ে দিয়ে, খুঁজবো নিরুদ্দেশ। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য
নেই আর।খামার পুড়ে গেলে যে কৃষক গালে হাত দিয়ে
হাসে- তার আবার দুঃখ কি! ফাঁকি দিয়ে যে পাখি পিঞ্জর
ভাঙে, তাকে কে ফেরাতে পারে! যারে আঁঁকড়ে ধরে এই
পৃথিবী বাঁচে, সে তো পতঙ্গই- প্রণয়ের ধারে।
#
যেহেতু আড়াল নয়
……………………………
ঢেউগুলোর হারিয়ে যাওয়াকে কী নামে ডাকবে তুমি!
ভূমি তার বুকের খনিজে যে বীজ লুকিয়ে রাখে, তা ও
কি বিবর্তন নয়! ভয় কিংবা সংশয়ের অন্তরালে যে চাঁদ
আকাশে দেরীতে ওঠে, তবে কী সে ও বাস্তুচ্যুত!  দ্রুত
রঙ পাল্টানো মেঘ, যেভাবে পাহাড়ের ওপারে।ঝরে
ঘুমবৃষ্টি হয়ে, আর কিছু স্মৃতি এঁকে রাখে শ্রাবণের ঘরে।
সরে গেলে নাতিদীর্ঘ আড়ালের গান। প্রমাণ রেখেই যায়-
বিষাদ তো  কালের সমান।
#
নৈঋত দেখার নিয়ম
……………………………….
চারদিক বন্দনা করি শূন্যে নিলাম ঠাঁই।পাই কি না পাই
দেখা অগ্নি গগনের। ভুলের নগরে দাস,  আমিও ছিলাম।
লেখিলাম সেই কথা আদি-জনমের। ঘরের চৌকাঠগুলো
খড়িমাটি দিয়ে।দাগিয়ে আমিই গেলাম শুদ্ধি নগরে। পারে
যারা ভেসে যেতে আগুন-পরবে।নিবে এই দানটুকু অতি
আপন করে। এরপরে নিভৃতে নৈঋতের নিয়ম। বিভ্রম কাটিয়ে
তারা খুঁজিবে পরম।
#
Print Friendly

Related Posts