সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সব প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনা নিয়ে করা সব প্রতিবেদনও সরানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসমিয়া নুহাইয়া আহমেদ এ রিট দায়ের করেন। রিটে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী তাসমিয়া জানান, সব মাধ্যম থেকে চরিত্রহানিকর রিপোর্ট/ব্যক্তিগত ছবি/ভিডিও সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট রোববার রাতে নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন তার সরকারি ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে ওই দিনের ঘটনার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফাঁস হয়। সেই ফুটেজ যাচাই করে তার বাসায় পরীমনির ১৮ ঘণ্টা অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) থেকে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম-পশ্চিম) বদলি করা হয়।
এরপর পরীমনি ও সাকলায়েনের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি দেখে ধারণা করা হয়, এটি সাকলাইনের জন্মদিনে ধারণ করা। এতে দেখা যায়, পরীমনি ও সাকলায়েন একসঙ্গে কেক কেটেছেন এবং পরীমনি তার মুখে কেক তুল দিয়েছেন। কেক কাটার পর পরীমনি তাকে চুম্বনও করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, ‘পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের গোপন ভিডিও!’ যদিও পরীমনির সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন সাকলায়েন।
উল্লেখ্য, সাভারের বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদের একটি মামলার তদন্তের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন গোলাম সাকলায়েন।