একদিনে তিন লেখকের অনন্তযাত্রা

রহস্য লেখক শেখ আবদুল হাকিম

জনপ্রিয় রহস্য লেখক, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক শেখ আবদুল হাকিম আর নেই। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টায় রাজধানীর বাসাবো পূর্ব নন্দীপাড়ায় নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

শেখ আবদুল হাকিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ব্রঙ্কাইটিস ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুর নাগাদ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শ্বাসপ্রদাহজনিত সমস্যার কারণে তিনি বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রায় এক মাসের চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।

শেখ আবদুল হাকিমের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে মাত্র চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশে চলে আসেন। তরুণ বয়সে লেখালেখিতে তার হাতেখড়ি হয়। প্রথম উপন্যাস ‘অপরিণত প্রেম’। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সেবা প্রকাশনীর প্রকাশক ও লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। সেবার জনপ্রিয় সিরিজ ‘কুয়াশা’র দশম কিস্তি থেকে তিনি এ প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে শেখ আবদুল হাকিম আলোচিত ও পাঠকপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের অসংখ্য বই ঘোস্ট রাইটার হিসেবে রচনা করেন। এ ছাড়াও শেখ আবদুল হাকিম রোমান্টিক উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক উপন্যাস, অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসসহ নানান স্বাদের গ্রন্থ রচনা করেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় মাসিক ‘রহস্য’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন বহু বছর।

‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের প্রকাশিত বইগুলোয় লেখক হিসেবে কাজী আনোয়ার হোসেনের নাম থাকলেও মাসুদ রানার ২৬০টি ও কুয়াশার ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে মালিকানা স্বত্ব দাবি করে তার বিরুদ্ধে শেখ আবদুল হাকিম কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ দাখিল করেন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। এ ঘটনা সে সময় থ্রিলার পাঠক মহলসহ সাহিত্য মহলে আলোড়ন তোলে। পরবর্তী সময়ে প্রায় এক বছর পর তিন দফা শুনানি, দুই পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি ও তৃতীয় পক্ষের বক্তব্যের আলোকে কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে রায় প্রদান করেন। পরবর্তীকালে কাজী আনোয়ার হোসেন এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের পর বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

সাহিত্য জীবনের একটা দীর্ঘ সময় ‘ঘোস্ট রাইটার’ ও অনুবাদের কাজ করলেও মৌলিক সাহিত্য সৃষ্টিতেও অনন্য ছিলেন শেখ আবদুল হাকিম। তার লেখা রোমাঞ্চ ও রহস্য গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো- ‘সোনালী পোকা’, ‘জিপসি জাদু’, ‘অধরা কুমারী’, ‘টেকনাফ ফর্মুলা’, ‘সোনালী বুলেট’, ‘স্মৃতিচোর’ ‘জুতোর ভেতর কার পা’, ‘জল দাও জল’, ‘মুঠোর ভেতর তেলেসমাতি’, ‘আতংক’, ‘সোমালি জলদস্যু’, ‘আইডিয়া’, ‘তিতলির অজানা’, ‘লব্ধ সৈকত’, ‘জ্যান্ত অতীত’, ‘তাহলে কে?’, ‘চন্দ্রাহত’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও কয়েক খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে তার উপন্যাসসমগ্র।

দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে শেখ আবদুল হাকিম বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত সাহিত্যিকদের অসংখ্য অমর সাহিত্যের বাংলা ভাষান্তর করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- মারিও পুজোর ‘গডফাদার’, হাওয়ার্ড পাইলের ‘দস্যু রবিন হুড’, জেমস ওয়েনের ‘নুরেমবার্গ ইভিল অন ট্রায়াল’, জোনাথন সুইফটের ‘গালিভার্স ট্রাভেলস’, এরিক মারিয়া রেমার্কের ‘দ্য ব্ল্যাক অবিলিস্ক’, ‘অল কোয়ায়েট ইন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’, ভিক্টর হুগোর ‘দ্য ম্যান হু লাফস’, জুলভার্নের ‘আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ’, মার্ক টোয়েনের ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন’, মেরি শেলির ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’, আলেকজান্ডার দ্যুমার ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’, ডগলাস ফ্রাঞ্জ ও ক্যাথেরিন কলিন্সের ‘দ্য ম্যান ফ্রম পাকিস্তান :নিউক্লিয়ার স্মাগলার আবদুল কাদির খান’ কেন ফলেটের ‘দ্য ম্যান ফ্রম সেন্ট পিটার্সবার্গ’ বাংলারূপ ‘আততায়ী’সহ অসংখ্য গ্রন্থ।

শেখ আবদুল হাকিম এক ছেলে পুলক হাসান, দুই মেয়ে শেখ সাদিয়া হাকিম, শেখ অপালা হাকিমসহ অসংখ্য আত্মীয় ও দেশজুড়ে লাখো গুণমুগ্ধ পাঠক রেখে গেছেন। লেখকের স্ত্রী ফরিদা বেগম ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর নন্দীপাড়া মসজিদে জানাজা শেষে নন্দীপাড়া কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী

কথাসাহিত্যে গ্রামীণ জীবনের অনন্য রূপকার শক্তিমান লেখক বুলবুল চৌধুরী আর নেই। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাবাজারের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদকজয়ী এ লেখক (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

আজীবন শিল্পের সাধনা করে যাওয়া মাটিবর্তী এই কথাকার ছয় মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। বুলবুল চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার ছেলে রাফী চৌধুরী সমকালকে বলেন, ক্যান্সার শ্বাসযন্ত্রে ছড়িয়ে যাওয়ায় তার বাবা কেমোথেরাপি নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় ছিলেন না। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার দাফনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাফী জানান, পারিবারিকভাবে আলোচনা করে দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

বুলবুল চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুলবুল চৌধুরী তার লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন। এ ছাড়া এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।

আজ রোববার সকাল ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুলবুল চৌধুরীর মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বুলবুল চৌধুরী শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাসায় থেকেই চলছিল তার চিকিৎসা। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দেওয়া হয় কয়েকটি রেডিওথেরাপি। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার কারণে শুরু করা যাচ্ছিল না কেমোথেরাপি। শেষ পর্যন্ত আজীবন জীবনের জয়গান গেয়ে যাওয়া, বাংলার মাটি ও মানুষের কথা লিখে চলা মানুষটিকে হার মানতে হয় এ মরণব্যাধির কাছে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে।

তার জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুর জেলার দক্ষিণবাগ গ্রামে। বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভরা বাউন্ডুলে স্বভাবের মানুষটি প্রথম জীবনে কাজ করতে চেয়েছিলেন সিনেমা নিয়ে। পরবর্তীকালে বন্ধু কায়েস আহমেদ ও কবি আবুল আহসানের সান্নিধ্যে ও প্রভাবে কথাসাহিত্যে নাম লেখান। তার রচিত প্রথম গল্পের নাম ‘জোনাকি ও সন্নিকট কেন্দ্র’। প্রথম লেখা গল্পটি জগন্নাথ কলেজে গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। পরে নিজের কাটানো নানা অভিজ্ঞতায় ভরা জীবন আর বাংলার প্রান্তবাসী মানুষকে নিয়ে স্বকীয়তায় ভরা নতুন এক গদ্য ভাষা নিয়ে অনেকটা ধ্রুবতারার মতো হাজির হন ভিন্ন আঙ্গিকের, ভিন্ন স্বাদের গল্পের সমাহার নিয়ে।

তার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘টুকা কাহিনী’। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে প্রকাশিত এ গ্রন্থেই তিনি সাহিত্যবোদ্ধা ও পাঠক মহলের মন জয় করে নিজের আগমনী বার্তা প্রদান করেছিলেন। প্রথম গ্রন্থের সাফল্য সত্ত্বেও লেখক হতে না চাওয়া মানুষটি অবশেষে লিখে গেছেন আমৃত্যু। একে একে প্রকাশিত হয় তার বেশ কয়েকটি ছোটগল্প ও উপন্যাস। পাশাপাশি কিশোরদের জন্যও রয়েছে তার কয়েকটি গ্রন্থ।

বুলবুল চৌধুরীর সাহিত্যে বাংলার আদি ও অকৃত্রিম গ্রামীণ জীবন নানা আঙ্গিকে ঘুরেফিরে এসেছে। পাশাপাশি তার গল্প-উপন্যাসেও এসেছে নানান ঘেরাটোপে ভরা জটিল নগর জীবনের বিচিত্রতা। নিজের দেখা বাস্তবের অভিজ্ঞতা তিনি কল্পনার মিশেলে সাহিত্যে রূপ দান করেছেন জাদুময় ভাষাশৈলীর মূর্ছনায়।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘যে কোনো শিল্পকর্ম একটা অঙ্কের ধার ধারে। সেই অঙ্ক নিজেকে দিয়েই সাধন করতে হয়। যে যত বেশি নিজেকে তৈরি করতে পারবে, সে ততটাই নিজেকে বিস্তার করতে পারবে। জীবনের দেখার সঙ্গে কল্পনা-রহস্য এবং আবেগও একীভূত হওয়া চাই।’

লেখালিখির বাইরে বুলবুল চৌধুরী পেশাজীবনের প্রথমভাগে পুরান ঢাকায় ছাপাখানার ব্যবসায় নাম লিখিয়েছিলেন। পরে যুক্ত হয়েছিলেন সাংবাদিকতার সঙ্গেও। জোনাকি, ঝিনুক, নিপুণ, রোমাঞ্চ, চিত্রকল্পসহ প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি বিনোদন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। মাঝের একটা সময় চিত্রপরিচালক হওয়ার স্বপ্নে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বেকার জীবন কাটিয়েছিলেন বহুদিন। দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সমকালসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বেশ কয়েক বছর। পরে জীবনের শেষভাগে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে লেখালিখিতেই পূর্ণ মনোযোগ দেন তিনি।

তার ছোটগল্পগ্রন্থগুলো হলো ‘টুকা কাহিনী’, ‘পরমানুষ’, ‘মাছের রাত’ ও ‘চৈতার বউ গো’। তার উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- ‘অপরূপ বিল ঝিল নদী’, ‘কহকামিনী’, ‘তিয়াসের লেখন’, ‘অচিনে আঁচড়ি’, ‘মরম বাখানি’, ‘এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে’, ‘ইতু বৌদির ঘর’, ‘দখিনা বাও’, ‘জলটুঙ্গি’, ‘পাপপুণ্যি’, ‘ঘরবাড়ি’, ‘দম্পতি’, ‘বলো কি অনুভব’। ‘জীবনের আঁকিবুঁকি’ ও ‘অতলের কথকতা’ তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ। এসবের পাশাপাশি ‘গাঁওগেরামের গল্পগাথা’, ‘নেজাম ডাকাতের পালা’, ‘ভালো ভূত’ আর ‘প্রাচীন গীতিকার গল্প’ শিরোনামে কয়েকটি কিশোর গ্রন্থও রয়েছে তার।

সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০২১ সালে একুশে পদকে লাভ করেন। আরও পেয়েছেন হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার ও ব্র্যাক ব্যাংক ও সমকাল সাহিত্য পুরস্কার।

রম্যলেখক আতাউর রহমান

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রখ্যাত রম্য লেখক, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আতাউর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। শনিবার ভোর ৬টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৪২ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আতাউর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি নেওয়ার পর সিলেটের মদনমোহন কলেজ ও এমসি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।

পরে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাকিস্তান পোস্টাল বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি ও কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০২ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন আতাউর রহমান। অবসরের পর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। প্রচণ্ড জনপ্রিয় অনলবর্ষী বক্তা, আমলা, লেখক, শিক্ষক ও কূটনীতিকের এ পর্যন্ত ২৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

Print Friendly

Related Posts