মুসলিম সাহিত্য নবজাগরণের সার্ধশত বছর ও সাহিত্যবিশারদ

হামীম রায়হান

 

সময়টি ঊনবিংশ ও বিংশ শতকের। বাংলার মুসলমানরা যখন নিজের পরিচয়, এদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক, এদেশের ভাষার সাথে তাদের সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কিছুটা দ্বিধান্বিত তখনই বাংলার মুসলমান সাহিত্য সমাজে জাগরণ দেখা যায়। রেঁনেসার কথা আমরা শুনলেও প্রকৃত রেঁনেসা হয় যখন বাংলার মুসলমানরাও জেগে উঠে। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব জয়ের সময়কালে কোন বড় মুসলমান কবির বা সাহিত্যিকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া না গেলেও একথা বলা যায়নি যে আগে এমন কোন বড় কবি মুসলমান সমাজে ছিল না।

আজ আমরা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস যেভাবে পড়ছি আগেও কী এমন ছিল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস? উত্তরটি হবে- না। কারণ, বাংলা সাহিত্যের প্রথমদিকের ইতিহাস রচিত হয়েছিল শুধুমাত্র হিন্দু সাহিত্যিকগণের উপর ভরসা করে। বাংলা সাহিত্যের যে প্রাচীন ইতিহাস আবিষ্কৃত হয়েছে তাতে দেখা গেছে হিন্দুদের প্রভাব বেশি আর মুসলমানদের একটা অংশ বাংলাকে তাদের মাতৃভাষারূপে, কথ্যভাষারূপে গ্রহণের পক্ষপাতি ছিল না। ফলে সবার স্বভাব সুলভ ধারণা জন্মালো বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের কোন অবদান বা কর্ম নাই। মুসলমানরাও এ কথা আস্তে আস্তে বিশ্বাস করতে শুরু করল। তাদের মধ্যে জন্ম নিল হীনমন্যতা। কিন্তু সবাই যে বিশ্বাস করেছিল এমনটা নয়। অনেকেই চেষ্টা করতে লাগল মুসলমানদের এই বাধা ভাঙতে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ। তাঁর জন্ম ১১ই অক্টোবর ১৮৭১ আর মৃত্যু ৩০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫২ সাল।

আবদুল করিমের জন্ম ও বেড়ে উঠা চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অন্তর্গত সুচক্রদন্ডী গ্রামে। শৈশবে বাড়ির উঠোনে আসা পুথি পাঠের আসর থেকে তাঁর মনে পুথি প্রেম জন্মায়। আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে। পুথির মাঝে তিনি হাজার বছরের ধ্বনি শুনতে পান। তিনি তাঁর এলাকার আশপাশ থেকে পুথি সংগ্রহ করতে থাকেন। পুথি মূলত হিন্দুদের ঘরেই থাকত। আর সেই পুথি সংগ্রহ করতে তাঁকে কত ত্যাগ, অপমাণ হতে হয়েছে তা আজ কারো অজানা নয়। এসব পুথি গবেষণায় তিনি অন্যন্য হয়ে উঠেন। এতকিছুর মাঝেও তাঁর মনে এক ধরনের শূন্যতা থেকে যায়। তিনি ভাবতে থাকেন ‌‘আসলেই কী মুসলমানদের কোন সাহিত্য ইতিহাস নাই!’

তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, নিশ্চয় মুসলমানদের সাহিত্য ইতিহাস ও কর্ম আছে। তা আবিষ্কারের অপেক্ষা মাত্র।
একদিন সাহিত্যবিশারদ খবর পান আনোয়ারার এক কৃষকের কাছে একটা পাণ্ডুলিপি আছে। তখন তিনি আনোয়ারার এক ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। খবর পাওয়ার পর তিনি ছুটেন সেই কৃষক বাড়িতে। কৃষককে নানাভাবে বুঝিয়ে হস্তগত করেন সেই পুথিটা। যা পরবর্তীতে গবেষণায় মহাকবি আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের পুথি হিসেবে প্রমাণিত হয়। এ আবিষ্কারে মুহূর্তেই পাল্টে গেল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। তিনি প্রমাণ করতে লাগলেন বাংলার মুসলমানদের কত গৌরবের সাহিত্য ইতিহাস আছে তা। তিনি আলাওলকে মধ্যযুগের রবীন্দ্রনাথ বলে আখ্যা দেন। তিনি এক অভিভাষণে বলেন, ‘বাঙালার যে যুগে মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক বাংলা সাহিত্য চর্চার উন্মেষ হয় , আমরা সেই যুগের ওই উদয় এবং সেই যুগের ওই অস্ততারা। সেই যুগের শেষ চিহ্নস্বরূপ আমার মতো এখনো যে কয়েকজন বাঁচিয়া আছে, তাহাদের অন্তর্ধানের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক মুসলিম বাংলা সাহিত্যের উন্মেষের যুগ যে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। এই যুগে যাহারা বাংলা ভাষার সেবায় বিভিন্নভাবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, তন্মধ্যে আমি ছিলাম পাল হইতে পলাতক।. আমি ছিলাম বাঙ্গালা ভাষায় মুসলমানদের প্রাচীন অবদানের তথ্য উদঘাটনে তৎপর। প্রাচীন বাংলায় মুসলমানদের দান সম্বন্ধে আলোচনা করিতে গিয়া আমি যে সকল নতুন তথ্যের উদঘাটন করি, তাহা জাতির পক্ষে সম্মান কি অসম্মানের, গৌরব কি অবরোধের বিষয় ছিল, সে বিচার আমি করিতে চাই না।’

তাঁর এই ঐতিহ্য অনুসন্ধানের কারণ হিসেবে ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের অভিভাষণ সমগ্র’ গ্রন্থের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘তৎকালীন রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিষ্প্রভ, দরিদ্র মুসলমান সমাজ বৃহত্তর অংশ হলেও তারা ছিল অবহেলিত। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে পশ্চাৎপদ। শিক্ষিত সমাজের পাঠযোগ্য কোন রচনা বা গ্রন্থ তাদের ছিল না। সেই অবস্থায় আবদুল করিমের ইতিহাস -জ্ঞান তাঁকে বাংলার ঐতিহ্য সন্ধানে আগ্রহী করে তোলে।’

সে সময়ের মুসলমানরা বাংলা ভাষাকে হিন্দুর ভাষা বলে ত্যাগ করছিল। তারা আরবকে তাদের আদিবাস ও আরবিকেই ভাষা হিসেবে গ্রহন করতে চাইত। অথচ ইতিহাস ঘেঁটে সাহিত্যবিশারদ দেখালেন কিভাবে প্রাচীন মুসলমানরা বাংলা ভাষায় আকৃষ্ট হয়ে সাহিত্যচর্চা করেছে।

‘ খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী হইতে অর্থাৎ হোসেন শাহের রাজত্বকালে হইতে বাঙালার স্বাধীন মুসলমান সুলতানগণ দেশীয় ভাষায় অনুরাগী হইয়া পড়িয়াছিলেন। বিদ্যাপতির কবিতায়, বৈষ্ণবদের সাহিত্যে, প্রাচীন মনসামঙ্গল গ্রন্থে, মহাভারত ও রামায়ণ পুস্তকে এই যুগের মুসলমান নরপতিগনের বঙ্গসাহিত্য প্রীতির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ আছে।….. গৌড়ের সুলতানগনের দেশীয় ভাবানুরাগ ও বঙ্গসাহিত্য প্রীতি এই যুগের বাঙালার মুসলমানের মধ্যেও যে সংক্রমিত হইয়াছিল, তাহা অনুমান করা যাইতে পারে। মুসলমানগন ধীরে ধীরে এইরূপে পরোক্ষভাবে বঙ্গভাষা সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হইতেছিলেন। ‘ তিনি সপ্তদশ শতাব্দীকে বাংলার মুসলমান সাহিত্যের স্বর্ণযুগ বলেন। কারণ এ শতাব্দীতে কবি দৌলত কাজী, আলাওল, সৈয়দ সুলতান, মোহাম্মদ খান ইত্যাদি কবিদের আবির্ভাব হয়। আর তাঁরা কত দক্ষতার সহিত, মমতার সহিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা করেছিলেন তা আজ আমাদের নিচু মাথাকে উঁচু করেছে। এবং সাহিত্যবিশারদ জোর দিয়ে বলেন এ সময়টা মুসলমানদের বাংলা সাহিত্যচর্চার ‘হাতেখড়ি’ যুগ নয়। কেননা, বাহরাম দৌলত উজীর রচিত প্রণয়োপাখ্যান ‘লাইলি মজনু’ তে যে বাংলার ব্যবহার পান তা আগে থেকে হাত না পাকালে এমন হতে পারে না বলে দাবী করেন।

তিনি নানা ভাবে, সবসময় মুসলমানদের সাহিত্য অবদান নিয়ে কথা বলায় অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনে। অনেকেই তাঁকে সাহিত্যক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার আনার অভিযোগ করে। তিনি এসবের জবাব দেন কলকাতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির ষষ্ঠ সম্মেলনে (১৯৩৯)। তাঁর অভিভাষণটির শিরোনাম ছিল ‘বাঙালি মুসলমানের সাহিত্যিক জাগরণ’। তিনি দীপ্তকণ্ঠে বলেছেন, ‘সাহিত্যে জাতি-ধর্মের গণ্ডি আমি কখনও স্বীকার করি নাই, এখনো করিনা, কিন্তু ইহার বৈচিত্র স্বীকার করি। সাহিত্য হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যে জাতির এই হউক, ইহা সাহিত্যপদ বাচ্য হইলেই সার্বজনীন হইয়া থাকে।. …… সাহিত্যিক সৌন্দর্যের পরিসর বহু বিস্তৃতির সম্ভাবনায় পূর্ণ।’ তাই তিনি এটাকে শুধুমাত্র ধর্মীয় গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখতে চাননি। তিনি বলেন মুসলমান সাহিত্য বা হিন্দু সাহিত্য সেই সাহিত্যিক সৌন্দর্য্যের বিচিত্র ভঙ্গির একটা রূপ মাত্র। যারা এসব কথা বলে তাদেরকে তিনি সাহিত্যের শত্রু বলেছেন।

এ সময় বাংলা সাহিত্যে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে সাহিত্য রচনা করলে অনেকেই তা মেনে নিতে পারছিল না। সাহিত্যবিশারদ তাদেরকে এমন গোঁড়ামি মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। ইংরেজ আমলে প্রথমদিকে মিশনারীরাও যে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় বুদ্ধিতে সাহিত্য চর্চা করেছিল এতে বাংলা সাহিত্যের ক্ষতি না হয়ে বরং লাভই হয়েছিল, ঠিক তেমনি মুসলমানদের এ ধরণের রচনা বাংলা সাহিত্যের জন্য ক্ষতিকর বা সাম্প্রদায়িক নয়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায় মীর মোশাররফ করিম রচিত ‘বিষাদ সিন্ধু’র কথা।

বাংলার মুসলমানদের সাহিত্য ইতিহাস যে সমৃদ্ধ তা তিনি নানাভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন এবং পেরেছেনও। এক অভিভাষণে তিনি চট্টগ্রামের প্রাচীন মুসলমান লেখক ও কবিগণ এবং তাঁদের সাহিত্যকর্মের একটি তালিকা দেন। তার কিয়দংশ এখানে আনছি-

আলাওল- পদ্মাবতী, সেকান্দর নামা, সয়ফুল মুলুক বদিউজ্জামাল, সপ্ত পয়কর, সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী, তউফা।
দৌলত কাজী- লোর চন্দ্রানী সতীময়না।
সৈয়দ সুলতান – হজরত মোহাম্মদ চরিত, ওফাত রসূল, নামহীন যোগ শাস্ত্রীয় পুথি, সবে মেয়ারাজ, জ্ঞান চৌতিশা।
মোহাম্মদ খান- মুক্তাল হোসেন, কেয়ামতনামা, কাসিম যুদ্ধ, জঙ্গনামা।
দৌলত উজির – লায়লি মজনু।
নছরউলা খান- জঙ্গ নামা।
সাহ বদিউদ্দিন- ফাতেমার ছুরতনামা।
নূর মোহাম্মদ – মদনকুমার মধুমালার পুথি।
মোহাম্মদ আকবর- জেবল মুলুক সামারোক, সাহ দৌলার পুথি।
করিম উল্লা- যামিনী ভান।
সরিফ- লালমতি সয়ফল মুলুক।
মোতালেব – কিফায়তোল মোছল্লিন।
সৈয়দ নুরউদ্দিন- দাকায়েক, রাহাতুল কুতুব।
সেখ মনসুর- আমিরজঙ্গ।
মোহাম্মদ রাজা- তমিম গোলাল চৈতন্য ছিলাল, মিছিরী জামাল।
মোজাম্মেল – ছাহাৎনামা।
বালক ফকির- খণ্ডিত নামহীন পুথি।
মোহাম্মদ আলি – কিফায়তোল মোছল্লিন, মুর্শিদের বারোমাস।
করম আলী – রাধার সংবাদ ঋতুর বারোমাস
মুজাফফর – ইউনান দেশের পুথি
আলী রাজা ওরফে কানু ফকির- ধ্যানমালা, জ্ঞানসাগর।
চামপা গাজী- সৃষ্টিপত্তন, তালেনামা
সেখ ফয়েজ উল্লা- গোরক্ষ বিজয়
আবদুল হাকিম- ইউসুফ জেলেখা, লালমতী,
মোহাম্মদ ছগির- ইউসুফ জোলেখা
এভাবে তিনি ১১২ জন কবি ও তাঁদের সৃষ্টিকর্মে নাম উল্লেখ করেন।

তাঁর এমন আবিষ্কারে মুসলমান সমাজ দেখল তারা অতীতে কত সম্পদশালী ছিল। অতীতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় এতদিন তারা হীনমন্যতায় ভুগছিল।

তৎকালীন সময় যখন মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আদর্শ নিয়ে সাহিত্যচর্চা শুরু করে তখন অনেকেই সাহিত্যক্ষেত্রে ধর্মকে আনার সমালোচনা করে। আবদুল করিম এমন মনোভাব ত্যাগের কথা বলেন। সাহিত্যকে সাহিত্য হিসেবেই দেখার পক্ষে ছিলেন তিনি। তাই বাংলার মুসলিম সাহিত্যকে বাংলা সাহিত্যের ফুলের একটি পাপড়ি বলে উল্লেখ করেন।

আবার অনেকেই বলতে থাকেন হিন্দুরা সাহিত্যের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি মুসলমানদের মধ্যে প্রভাবিত করছে। এমন অভিযোগও সাহিত্যবিশারদ স্বীকারের পক্ষে নন। তিনি বলেন মুসলমানরা ঐ মানের সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারছে না বলেই আমরা অজ্ঞাতসারে তাঁদের সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছি। এ ব্যর্থতা মুসলিম লেখকদের। আর হিন্দু সাহিত্যিকগণের সাহিত্যে তো তাঁদের ধর্মীয় প্রভাব থাকবেই। তাই বলে সাহিত্যে আরবি, ফারসী বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহারকে তিনি অপছন্দ করতেন। যারা এমনটা করতো তাদেরকে সাহিত্যের জন্য অপকারী বলেছেন।

তিনি বাঙালি জাতির উন্নতি চেয়েছিলেন। আর তাই তো মনে প্রাণে চাইতেন বাংলার হিন্দু ভাইদের মতো মুসলমান ভাইরাও সাহিত্যক্ষেত্রে এগিয়ে যাক। আর তবেই প্রকৃত বাঙালি জাতি গঠিত হবে। এ আর্দশ তিনি আমৃত্যু লালন করেছেন। তাঁর এমন আবিষ্কার বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পূণর্লিখিত হয়েছে। তাই সাহিত্যবিশারদকে কেউ কেউ যুগপুরুষ বলেছেন। একজন নিছক পুথি সংগ্রাহক কিভাবে যুগপুরুষ হতে পারে তা সত্যিই আশ্চর্যের কথা। কতটুকু সাধনা, ইচ্ছা, সততা থাকলে একজন পুথিসংগ্রাহক পুরো জাতির সাহিত্য ইতিহাসকে বদলাতে পারেন। তা আজ প্রমাণিত।

তিনি যে জিনিস আবিষ্কার করেছিলেন, আজ যেন তিনি তার নিচেই চাপা পড়েছেন। তাঁর আবিষ্কৃত পুথি থাকলেও তিনি যেন আজ চর্চার বাইরে চলে গেছেন। যদি সত্যিই এমনটা হয় তবে আমরা বোধ হয় অকৃতজ্ঞ জাতি, সেটাই প্রমাণ হবে।

সময় বয়ে যায় আপন গতিতে। সেই গতি বর্তমানকে করে অতীত। অতীত হয়ে যায় ইতিহাস। সেই ইতিহাস কখনো উহ্য থাকে আবার কখনো সামনে আসে। সামনে আসা ইতিহাস নতুন ইতিহাসের সৃষ্টি করে। পুরনো ইতিহাস নতুনভাবে লিখিত হয়। সাহিত্যবিশারদের হাতে বাংলার মুসলমানদের সাহিত্য ইতিহাস উদ্ধার হয়ে নবজাগরণ শুধু মুসলমানদের মধ্যে নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যে জাগরণ এসেছিল।

Print Friendly

Related Posts