ভোটে জিতে নারী মেম্বার নেচে গেয়ে ভাইরাল

জ,ই বু্লবুল : ভোটে জিতে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাচছেন নারী মেম্বার মর্জিনা বেগম। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করেছেন তিনি।
গত ২৮ নভেম্বর মর্জিনা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে জয়লাভ করেছেন। এরই মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এ নারী মেম্বার। নির্বাচনে জেতার আনন্দে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নাচছেন মরজিনা বেগম। তার গলায় টাকার মালা। তার সঙ্গে নাচছেন গ্রামবাসীরাও।
গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিনোদপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে বিজয়ী হয়েছেন মর্জিনা বেগম।
মর্জিনা বেগম ৯ নম্বর ওয়ার্ড বলিবাড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার স্ত্রী। তার স্বামী দুলাল মিয়া ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দারোয়ান পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে কৃষিকাজে নিয়োজিত হয়েছেন দুলাল মিয়া। মর্জিনা বেগম দুলাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুলাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান। গত প্রায় ১৫ বছর আগে মর্জিনা বেগমকে বিয়ে করেন দুলাল মিয়া। মর্জিনার দুই ছেলেসন্তান রয়েছে।
জানা যায়, এবার ইউপি নির্বাচনে বলিবাড়ি গ্রাম থেকে একক প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয় মর্জিনা বেগমকে। অন্য গ্রাম থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরও সাতজন। তবে তাদের হারিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছেন মর্জিনা। এ জন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছেন কৃতজ্ঞতা জানাতে। এ সময় তার সঙ্গে থাকছে বাদ্যযন্ত্র। সেই বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নাচছেন মর্জিনা। তাকে উপহার হিসেবে গ্রামের মুরব্বিরা টাকা দিচ্ছেন। সেই টাকার মালাও মর্জিনা গলায় ঝুলিয়েছেন।
বক্তব্য জানতে নবনির্বাচিত নারী মেম্বার মর্জিনা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে তার স্বামী দুলাল মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর প্রতি গ্রামের মানুষের অনেক সমর্থন ছিল। মর্জিনা মেম্বার হওয়ায় আমিও খুশি। আমি চাই সে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
দুলাল মিয়ার চাচাতো ভাই আবু মুসা বলেন, আমি নিজেও এবার ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছে। আমার ভাবি মরজিনা জয়লাভ করায় খুশি হয়েছি। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে গ্রামের মানুষ এককভাবে মর্জিনাকে মনোনীত করেছেন।
Print Friendly

Related Posts