ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান’ এ আগুন লেগে ৩৯ লাশ উদ্ধারের পর আর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তৃতীয় দিনে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল এবং কোস্ট গার্ডের একটি টিম লঞ্চঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডকালে নদীতে লাফিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে ডুবুরি দল আজো সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত আর কোন লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
স্বজনদের দাবি, কমপক্ষে শতাধিক মানুষ নদীতে লাফিয়ে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে সুগন্ধা নদীতে ট্রলার নিয়ে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। অনেকেই হাতে নিখোঁজ হওয়াদের ছবি নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল দিয়াকুল তীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন, আর বিলাপ করছেন। অন্তত নিখোঁজ স্বজনদের মৃতদেহ যেন বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন তারা।
লঞ্চের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ব্যাক্তিদের তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোল রুম খুলেছে জেলা পুলিশ। সদর থানা পুলিশ এ কন্ট্রোল রুমে নিখোঁজের স্বজনদের অভিযোগে ৪৭ জনের নাম তালিকা প্রস্তুত করেছে। অন্যদিকে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি লিডার হুমায়ুন কবির বলেন, সকাল থেকে আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। নদীর পাড়ের বাসিন্দাদেরকে ফায়ার সার্ভিসের মোবাইল নম্বর দিয়েছি, যাতে কেউ কোনোখানে লাশের খবর পেলে আমাদেরকে দ্রুত জানাতে পারে।