টুকরো করে দুটি বস্তায় ছিল শিমুর মরদেহ, স্বামীসহ আটক ২

চলচ্চিত্রশিল্পী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ আলীপুর ব্রিজের পাশে দুটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তাদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে বস্তার ভেতরে টুকরো টুকরো অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পায়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালাম মিয়া জানান, মরদেহটি টুকরো করে ওই দুই বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরে, বস্তার ভেতর থেকে মৃতদেহের টুকরা অংশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে শিমুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

ওসি ধারণা করছেন, অন্য কোথাও তাকে হত্যার পর লাশ টুকরো করে বস্তায় ভরে গাড়িতে করে ওখানে ফেলে রেখে গেছে হত্যাকারীরা।

এদিকে মরদেহ শনাক্তের পরই শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদকেও আসামি করা হয়েছে। সোমবার রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।

শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, সবশেষ দুইদিন আগে কথা হয়েছিল শিমুর সাথে। তার কোনো শত্রু নেই। তবে এফডিসিতে ১০ দিন আগে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

এদিকে অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয় শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়।

চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

Print Friendly

Related Posts