এক ম্যাচেই দুই সেঞ্চুরি দেখল বিপিএল দর্শক

তামিম ইকবাল ০ রানে ক্যাচ তুলেছিলেন সিপ্লে। কিন্তু তা তালুবন্দী করতে পারেননি মো: মিঠুন। সুযোগ হারানোর চরম মূল্য দিয়েছে সিলেট সানরাইজার্স। ১৭৫ রানের পুঁজি নিয়েও আশা জাগাতে পারেনি। তামিমের অপরাজিত সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ শেহজাদের ফিফটিতে মিনিস্টার ঢাকা দিতেছে ৯ উইকেটে।

জয় থেকে যখন ৩ রানে দূরে তখন আউট হন শেহজাদ। বিপিএলে অভিষিক্ত ইমরানজ্জামান তিনে নেমে বল খেলার সুযোগ পাননি। চার মেরে সেঞ্চুরির পর আরও একটি চার-ছয়ে ৩ ওভার আগেই শেষ করেন খেলা।

চট্টগ্রামে বিপিএলে ফিরতেই দেখা গেল রানের জোয়ার। ব্যাটিং ট্র্যাকে সিলেটের ১৭৫ রানের পুঁজিও সামান্য মনে হল। ২৮ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন তামিম, ৬১ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। খানিক পরই শেষ হয়েছে ম্যাচ। ৬৪ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংসের পথে মারেন ১৭টি চার ও চারটি ছক্কা।

বিপিএলে তামিমের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে ৬১ বলে ১৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ঢাকা পর্বে চার ম্যাচে মাত্র একটিতে জেতা মিনিস্টার গ্রুপের দলটির বন্দরনগরীতে দ্বিতীয় পর্বের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। সবচেয়ে বেশি ৫ ম্যাচ খেলে তাদের জয় দুটিতে।

আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি থেকে ৬ মাস বিরতি নিয়েছেন তামিম। বৃহস্পতিবার নিজেই দিয়েছেন এ ঘোষণা। পরদিনই জ্বলে উঠলেন। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে চলতি বিপিএলে করলেন প্রথম সেঞ্চুরি। অবশ্য তার আগে এই বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন লেন্ডল সিমন্স।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ম্যাচে শুরুতে নড়বড়ে ছিলেন তামিম। প্রথম ৮ বলে করেন মাত্র ৬ রান। তার আগে রানের খাতা খোলার আগেই জীবন পান। ৭১ রানে দুইবার সুযোগ দেন। একবার উইকেটের পেছনে ক্যাচ ছাড়েন কিপার এনামুল হক বিজয়। পরেটি ছাড়েন আলাউদ্দিন বাবু।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের ওপেনার লেন্ডল সিমন্স উইকেটে থাকেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত, চলতি বিপিএলের প্রথম শতক হাঁকান এ ক্যারিবিয়ান। তারপরও অবশ্য খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭৫ রান। ৬৪ বলে ১১৬ রানের ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা আর ১৪টি চারে।

সিলেটের দুই ওপেনার সিমন্স ও আনামুল হক। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দলীয় ৫০ রান তুলে ফেরেন আনামুল। ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার। আনামুল ফেরার পর অপরপাশে বালির বাধের মতো ভেঙে পড়ে সিলেটের টপ ও মিডল অর্ডার। বরাবরের মত ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিথুন, কোনো রান না করেই ফিরেন কলিন ইনগ্রাম। রবি বোপারা ধীরলয়ে ব্যাট করে যোগ করেছেন ১৩ রান।

তবে অন্যপ্রান্তে সিলেটের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার সিমন্স। দুর্দান্ত সব শটে রাসেল-ইবাদতদের বিপক্ষে গড়েন বিপিএলের এবারের আসরের প্রথম শতক। দুহাত উপরে তোলার উপলক্ষ্য বানানোর পর ফেরেন আরেক ক্যারিবিয়ান বোলার রাসেলের বলে। তামিমের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১৯ বাউন্ডারিতে গড়েন ১১৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। শেষদিকে ৮ বলে ১৩ রান করে দলকে ১৭৫ রানের পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।

ঢাকার হয়ে সবচেয়ে খরুচে থাকেন আন্দ্রে রাসেল। ৩ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে নেন সিমন্সের উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts