ইফতেখার শাহীন: পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও পরিবারের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে পাথরঘাটায় এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হয়েছে উচ্চমূল্য ফসল পারিবারিক পূষ্টি বাগান।
উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় পাথরঘাটা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছে ২ হাজার ১০টি পুষ্টি বাগান। ইতোমধ্যে এসব বাগান থেকে শাকসবজি আহরণ শুরু করেছেন চাষিরা। করোনাকালিন সময়ে উৎপাদিত সবজি দিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে অধিকাংশ এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় অনাবাদি পতিত এক থেকে দেড় শতক জমিতে নান্দনিক বেড়া দিয়ে ৫ টি বেডে গাজর, বাঁধা কপি, টমেটো, বেগুন, বরবটি, ধনিয়া ইত্যাদি শাক সব্জির চাষ করে পুষ্টি বাগান তৈরী করা হয়েছে। এ থেকে একটি পরিবার সারা বছরই যেনো কিছু না কিছু বিষমূক্ত ফসল পান। বীজ, সার, চারাসহ যাবতীয় ব্যয় সরকারের তরফ থেকে বহন করা হয়েছে। কৃষাণ-কৃষাণী শুধু পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিস খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রোগ ও পোকা থেকে রক্ষা করতে পরামর্শ দিয়ে ও সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সার্বিক সহায়তা করছেন।
উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ গ্রামের সুবিধাভোগী ছগিরুল আলম জানান, প্রতিমাসে তিনি তার পরিবারের ১৫/২০ দিনের সবজির চাহিদা এখান থেকে মেটাতে পারছেন। এ ছাড়া উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের শতকর গ্রামের নুপুর রানী, গোলবুনিয়ার তুলসী রানী, মাদারতলীর হালিমা বেগম, সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা গ্রামের রেনুবালা, আরতি রানি জানান, এই পূষ্টি বাগান থেকে তারা প্রতিদিন টাটকা শাক সব্জি পাচ্ছেন এথেকে তারা খুবই উপকৃত।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, এসএসিপি প্রকল্পের মাধ্যমে পাথরঘাটা উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের উচ্চমূল্য ফসলের ব্যাপারে কৃষকদের উৎসাহিত করে যাচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রতিনিয়ত বিবিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।