শিক্ষার্থী অথৈর মা লিমা জানান, মঙ্গলবার গনিত ক্লাসে অথৈকে অংক করতে দেয় শিক্ষক মরিয়ম। অথৈ অংকে ভুল করায় অপর এক শিক্ষার্থী ওই অংক করে দেয়। এসময় শিক্ষক মরিয়ম অথৈকে গালমন্দ করে লাইব্রেরী থেকে বেত এনে অথৈর মাথার পেছনে থাপ্পর মেরে বেত্রাঘাত করে। অথৈ বাড়ি এসে এ ঘটনা আমাকে বললে আমি স্কুলে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে আমার সাথেও খারাপ আচরণ করে শিক্ষক মরিয়ম। পরে আমার মেয়ে দুইবার বমি করে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বুধবার তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। বৃহস্পতিবার মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে ডাক্তার তাকে বরিশাল রেফার করেন। এর আগেও আমার মেয়েকে সে মারধর করেছে। ক্লাসে অন্য বাচ্চাদেরও সে এভাবে মারধর করে আসছে, ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। আমি এর বিচার চাই, যাতে অন্য শিশুদের বেলায় এমনটা না ঘটে।
বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ইমরান বলেন, স্কুলের নিয়ম কানুনের একটা ব্যাপার আছে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে বসে খায় সিগারেট। বাচ্চাদের শাসন করবে ঠিক আছে, তাই বলে বাচ্চাদের মাথা নীচু করে মেরুদন্ডে কিল বসাবে?
শিক্ষক মরিয়ম বলেন, এ রকম পিটাপিটি মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় ভুষণ মিস্ত্রি বলেন, স্কুলে এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, তদন্তে সত্য প্রমানিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।