পাকিস্তানের বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। রোমাঞ্চ ছড়ানো এই ম্যাচে পাকিস্তানি মেয়েদের ৯ রানে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে নিগার সুলতানার দল।
সোমবার (১৪ মার্চ) ভোরে হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান করে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে থামে পাকিস্তানের মেয়েরা।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ম্যাচকে ঘিরেই বাংলাদেশের আশা ছিল সবচেয়ে বেশি। সম্ভাবনাগুলো ব্যাটে-বলে পূর্ণতা পেল মাঠের ক্রিকেটে। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে গেল ৯ রানে।
হ্যামিল্টনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সোমবার বাংলাদেশ ৫০ ওভারে তোলে ২৩৪ রান। ওয়ানডেতে যা তাদের সর্বোচ্চ দলীয় রান।
টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ফারজানা হক করেন ৭১, অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ৪৬। তৃতীয় উইকেটে দুজনের দারুণ জুটিতে রান আসে ৯৬। একাদশে ফিরে ওপেনার শারমিন আক্তার খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস।
রান তাড়ায় ওপেনার সিদরা আমিনের সেঞ্চুরির পরও পাকিস্তান যেতে পারে ২২৫ রান পর্যন্ত।
দীর্ঘসময় পর্যন্ত অবশ্য জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। সিদরা আমিনকে অন্তত চারবার ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। ৪১ ওভার শেষেও ৮ উইকেট বাকি ছিল পাকিস্তানের, স্রেফ বলপ্রতি রান করলেই চলত। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে নিগার সুলতানা কাজে লাগান দুই লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদ ও ফাহিমা খাতুনকে। ৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ফাহিমা নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া সেই স্পেলে ম্যাচের সেরা তিনিই।
ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা তৃতীয় জয় এটি, তিনটিই দেশের বাইরে।
স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৪/৭ (শামিমা ১৭, শারমিন ৪৪, ফারজানা ৭১, নিগার ৪৬, রুমানা ১৬, রিতু ১১, ফাহিমা ০, সালমা ১১*, নাহিদা ২*; ফাতিমা সানা ১০-০-৫৪-১, ডায়না ৫-১-৩২-০, নিদা ১০-০-৪৫-১, নাশরা ১০-০-৪১-৩, গুলাম ফাতিমা ৭-০-৩০-০, ওমাইমা ৮-১-৩১-১)।
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২২৫/৯ (নাহিদা ৪৩, সিদরা আমিন ১০৪, বিসমাহ ৩১, ওমাইমা ১০, আলিয়া ০, ফাতিমা সানা ০, সিদরা নওয়াজ ১, ডায়না ১২, নাশরা ৯*, গুলাম ফাতিমা ৫*; জাহানারা ৪-০-২০-১, তৃষ্ণা ৪-০-১৯-০, সালমা ৯-০-২৯-১, নাহিদা ৯-০-৪৮-০, রুমানা ৭-০-২৯-২, রিতু মনি ৯-০-৪২-০, ফাহিমা ৮-০-৩৮-৩)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: ফাহিমা খাতুন।