এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রতিটি ম্যাচে বাজেভাবেই হেরেছে টাইগাররা। এবার তামিম ইকবালরা ইতিহাস বদলের পণ করেই আফ্রিকা সফরে গেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে সেই লক্ষ্যের পথে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ব্যাটাররা।
পূর্ণশক্তির দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩১৪ রান। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ করেছিল ৩৩০ রান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই প্রথমবার বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান একই ম্যাচে ফিফটি করলেন। এবার দায়িত্ব বোলারদের।
সুপার স্পোর্টস পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। লুঙ্গি এনগিডির করা প্রথম ওভারটিই ছিল মেডেন। দুই ওপেনার শুরু করেছিলেন দেখেশুনে। একটু সময় নিয়েই তামিম ইকবাল আর লিটন দাস উইকেটে সেট হন। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে আসে ৩৩ রান। দুজনে গড়েন ৯৫ রানের ওপেনিং জুটি। যা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। আন্দিলে ফেলুকায়োর করা ২২ তম ওভারের তৃতীয় বলে তামিম এলবিডাব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ৬৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৪১ রান করা তামিম। পরের ওভারে আরেক ওপেনার লিটনও বিদায় নেন। শিকারী কেশব মহারাজ। আউট হওয়ার আগে ৬৬ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন লিটন। ১০৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুই সিনিয়র সাকিব আর মুশফিক।
মি. ডিপেন্ডেবল আজ নির্ভরতা দিতে না পারলেও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক সমালোচিত সাকিব। ফেলুকায়োকে ছক্কা মেরে ৫০ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠা সাকিব ৪২তম ওভারে লুঙ্গির করা ইয়র্কার অযথা স্কুপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। শেষ হয় ৬৪ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস। এরই সঙ্গে ভাঙে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৮২ বলে ১১৫ রানের জুটি। নিজেকে প্রমাণের মিশনে থাকা ইয়াসির ৪৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে আউট হন। শেষদিকে ছোট ছোট অবদানে স্কোরকার্ড বড় করেন মাহমুদউল্লাহ (১৭ বলে ২৫), আফিফ (১৩ বলে ১৭) এবং মেহেদি মিরাজ (১৩ বলে ১৯*)। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩১৪ রান। ২টি করে উইকেট নেন মার্কো জনসেন এবং কেশব মহারাজ।