মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা: ভোলার বাপতা গ্রামে ডাবল মার্ডার কেসের আসামি মামুন ও ফিরোজকে মৃত্যুদণ্ড ও শরিফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি রেহানা বেগম ও আরিফকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি ফিরোজ পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার রায় কার্যকর করা হবে
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ভোলা জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক।
২০১৮ সালের ১৩ মে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জমিজমার বিরোধের জেরে বড় ভাই কর্তৃক হত্যার শিকার হন মো. মাসুম ও তার শ্যালক মো. জাহিদ। এ হত্যার পর মাসুমের শ্বশুর মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ভোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত মাসুম ও জাহিদ হত্যা মামলায় মাসুমের বড় ভাই মো. মামুনসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় মামুনের ছেলে মো. শরীফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের বাড়ি সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অতিন্দ্র লাল ব্যানার্জী ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাবু।
মামলার বাদী নিহত মাসুমের শ্বশুর মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। তার পরও আমার দাবি, পলাতক আসামি মো. ফিরোজকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে এ রায় কার্যকর করা হোক। তাকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অতিন্দ্র লাল ব্যানার্জী এ রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি স্পর্শকাতর। আমরা মনে করেছি, মামলায় বিজ্ঞ বিচারক এক নম্বর ও দুই নম্বর আসামিকে সাজা দিলেও বাকি আসামিরা খালাস পাবে। কিন্তু আদালত তিনজন আসামিকেই সাজা দিয়েছে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাবু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ভোলার আদালতে আজকে একটি যুগান্তকারী রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।