ইফতেখার শাহীন: বরগুনা জেলায় ১২৩ টি পরিত্যাক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। পরিত্যাক্ত ভবনেই চলছে পাঠদান। ফলে বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তিতে ও দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এতে পিছিয়ে যাচ্ছে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে ৬ টি উপজেলা নিয়ে বরগুনা জেলা। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যাকে মোকাবেলা করে এবং নানামূখী সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছে এ জেলার মানুষ। বিশেষ করে প্রতিকূল আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে, কখনও তাবু টানিয়ে, আবার কখনও ভাড়া ঘরে অথবা পরিত্যাক্ত ঘরেই চলছে এই এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে ব্যহত হচ্ছে এ অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় ১২৩ টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে বরগুনা সদরে ৩০ টি, আমতলী ৫০ টি, তালতলী ১৯ টি, পাথরঘাটা ২০ টি ও বেতাগী উপজেলায় ৪ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সকল ভবনগুলোতে চলছে নিয়মিত পাঠদান। প্রতি মূহুর্তে মৃত্যুভয়ে শংকিত থাকেন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।
পিইডিপি-৪ এর আওতায় জেলায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন ভবন । এখন যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে পর্যায়ক্রমে সেগুলোতেও নতুন ভবন নির্মিত হলেই এ সমস্যা আর থাকবেনা, এমনটি বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মিজানুর রহমান।