আইপিএলের বুধবারের ম্যাচে প্যাট কামিন্স বল হাতে ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছিলেন ৪৯ রান। যা বাকি বোলারদের চেয়ে অনেক বেশি। ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিলেন এই অলরাউন্ডার।
প্যাট কামিন্স যখন ক্রিজে নামলেন, তখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার ৪১ বলে ৬১ রান। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান থেকে মুম্বাইয়ে আসা কামিন্স এক ঝটকায় বদলে দিলেন ম্যাচের দৃশ্যপট।
প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই তুলেছিল ১৬১/৪। কামিন্সের কল্যাণে কলকাতা ২৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে গেল।
একটা সময় মনে হচ্ছিল মুম্বাই গাঁট বোধহয় এবারও থেকে যাবে কলকাতার। কিন্তু একজনই এসে গোটা চিত্রনাট্য বদলে দিলেন। ঘটনাচক্রে বুধবারই প্রথমবার মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেললেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স কলকাতার হয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই নায়ক হয়ে গেলেন। তবে বল হাতে নয়, ব্যাট হাতে।
১৫ বলে ৫৬! অর্ধশতরান এলো ১৪ বলে। ১৫ ওভারের পর কলকাতার জেতার জন্য দরকার ছিল ৩৫ রান। কেউ ভাবতেও পারেননি পরের ওভারেই কলকাতা জিতে যাবে।
কমিন্সের ১৫ বলে ৫৬ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করেই ৪ ওভার হাতে রেখে মুম্বাইয়ের ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কামিন্স এই ১৫ বলের মধ্যে ১০টিকেই পরিণত করেছেন বাউন্ডারিতে। ৪ চারের সঙ্গে হাঁকান ৬টি ছক্কা।
ওই ৬ ছক্কার চারটি আবার এসেছে এক ওভারে। ১৬তম ওভারে ডানহাতি পেসার ড্যানিয়েল স্যামস যখন বল হাতে নিয়েছেন, কলকাতার দরকার ৩০ বলে ৩৫। ওই ৩৫ রানই এক ওভার থেকে নিয়ে নিয়েছেন কামিন্স!
সবচেয়ে অবাক হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া টেস্ট অধিনায়ক নিজেই, ‘আমার মনে হয় এই ইনিংসে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি। আমি খুশি যে এমন খেলতে পেরেছি। আমার নাগালে বল আসলে উড়িয়ে মারার চিন্তা করছিলাম। তবে এটা নিয়ে অতিরিক্ত ভাবতে চাইনি।’