মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা: ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুছাকান্দি গ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে ভোলা সদর থানার একটি টিম পরিদর্শন করে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার পর ভয়ে আগুন নিভাতে স্থানীয় কেউই এগিয়ে আসেনি।
ভুক্তভোগি শাহাজল মিয়ার পরিবারের অভিযোগ, ইয়ামিন বাহিনীর নেতৃত্বে এসব হচ্ছে। এই দলে আরো রয়েছে ইলিয়াছ, নুরুল ইসলাম, সাহাবুদ্দিন ও রাকিবসহ কয়েকজন। তারা বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এর প্রতিবাদ কেউ করলেই তাদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে এ সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে।
শাহাজল বলেন, ইয়ামিন ব্যবসাকেন্দ্রীক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে এবং আমার ছেলেদেরকে হত্যার চেষ্টা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখে আমার ছেলে কামরুলকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। আমরা থানায় সাধারন ডায়েরি করি। তারপর তারা আরো হামলা করতে থাকে এবং একাধিক মিথ্যে মামলা করে। সেই মামলায় ৬ জন আসামির মধ্যে ৪ জনকে আদালত জামিন মঞ্জুর করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আদালতে জামিন পেলেও এখনো শাহাজল এর পরিবারের কেউ তাদের হামলার ভয়ে এলাকায় আসতে পারেনি। ৬ এপ্রিল (বুধবার) রাতে তারাবির নামাজের সময় পরিকল্পিতভাবে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে, দাবি শাহাজল মিয়া পরিবারের।
ইয়ামিন জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যে। তিনি কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নন।
বাপ্তা ৫ নং ওয়ার্ডে চৌকিদার মোঃ বিল্লাহ বলেন, আমি আগুন লাগার খবর শুনে দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসি। এখানে প্রায় ৫০ জন লোক উপস্থিত ছিলো কিন্তু আগুন নিভাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি পাশের বাড়ি থেকে বালতি নিয়ে এসে একা একা আগুন নিভিয়েছি। কিন্তু আগুন কিভাবে লাগছে, কারা লাগিয়েছে বলতে পারি না।
ভোলা ফায়ার স্টেশনের লিডার মোঃ কালাম হোসন বলেন, আমরা রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। রাস্তা সরু হাওয়ার কারণে বড় গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি, ছোট গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার পরেই আগুন নিভে যায়।
ভোলা সদর মডেল থানার এসআই মোঃ মোসলউদ্দিন বলেন, বাপ্তা ৫নং ওয়ার্ডে সরকারি স্কুলে পাশে আগুন লাগছে এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে এসে দেখি স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। এটা একটি মুদির দোকান ছিলো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।