বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে

-কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

 

মেশকাত সাকিব: শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সারাদেশে সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ১ ঘন্টার একটি ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন ও কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার খোজ-খবর নেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক প্রফেসর এনায়েত হোসেন সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় জানান, অতিমহামারিকালীন আমরা একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি, অন্যদিকে প্রতি বছরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর যাতে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কাজ করেছি। আজকের পরীক্ষাটিও সুশৃঙ্খলভাবে নেয়াসহ পরীক্ষায় কোনরকম অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য সবরকম ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহনের উদ্দেশ্যে এবছর প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আগামীতে পরীক্ষার মান আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত ২০০ নম্বর সহ মোট ৩০০ নম্বরের মাধ্যমে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের জন্য ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। এখানে ১২ টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট সমূহে আসন সংখ্যা ১৪০৫ টিসহ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে মোট আসন সংখ্যা ১৯৫০ টি। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিতের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে জাতীয় মেধায় ৮০ % ও জেলা কোটায় ২০% শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে। এবারের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৫,৯০৭ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই রয়েছে ৩১,০৩৫ জন। এবারের পরীক্ষায় মোট ২৬ টি ভেন্যুর জন্য মোট হল সংখ্যা ৯২৯ টি।”

উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি আসনের বিপরীতে ১২১ জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। আর মোট আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩৩.৮ জন।

এছাড়াও মে মাসের কলেরার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলেরা ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি যেসব এলাকায় টিকা দেয়া হবে। টিকা কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলেও এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান মন্ত্রী। করোনার সময় কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক ভাবেই ফিরছে সবকিছু।যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের সবাইকে টিকা নেয়ার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

টিআইবির রিপোর্টের বিষয়ে প্রেস কনফারেন্সে জানানো হবে। বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

টিকা প্রত্যেক বছর নিতে হলে টিকা উৎপাদনের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। শুধু করোনার টিকা নয় সব ধরনের টিকারই উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Print Friendly

Related Posts