আশুলিয়ায় মোবাইল ফোন সার্ভিসিং করতে গিয়ে দোকানির হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত দোকানি ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা চেরাগ আলী বেপারীপাড়ার খবির হোসেনের ছেলে আল মামুন (২৪)। তার আশুলিয়ার গাজীরচটে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান রয়েছে। অপরজন মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার জিয়ানপুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ অলী মোল্লা (২২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আল মামুনের মোবাইল মেরামতের দোকানে মোবাইল ঠিক করতে এসেই অভিযুক্তের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। এরপর অভিযুক্ত আল মামুন বিভিন্নভাবে মেয়েটিকে বিরক্ত করতেন। এরই একপর্যায়ে মোবাইল ঠিক করার কথা বলে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে আল মামুন গৃহবধূকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান শিমুলতলা এলাকার মোহাম্মদ অলী মোল্লার ভাড়া বাসায়। ওখানে নিয়ে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন আল মামুন। এ সময় অলী মোল্লা ধর্ষণের সহযোগিতা করেন এবং রুমের দরজা আটকে বাইরে পাহারা দেন। পরে মেয়েটি ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক জিয়াউল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই মামলা রুজু করা হয়। শুক্রবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।