ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম ফকির ফয়সালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের গাছা থানাধীন ছয়দানা হাজীরপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে সোমবার ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় মামলা করে। ভুক্তভোগী কিশোরী নারী ফুটবলার ও অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগীয় দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ফয়সালের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার ধর্ষণচেষ্টা মামলাটি ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ডিবি ফয়সালের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
ডিবির কাছে ভুক্তভোগী কিশোরী দাবি করেছে, তাকে ধর্ষণচেষ্টা না, ধর্ষণ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল। মামলাটি এখন ধর্ষণ মামলায় রূপ নেবে বলে জানিয়েছে ডিবি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ফয়সাল। ২২ এপ্রিল তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ কথা কাউকে জানালে ওই কিশোরীকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েও বিভিন্ন চাপের কারণে কিশোরী মামলায় ধর্ষণচেষ্টা উল্লেখ করেছিলেন।
ডিবির ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর ধর্ষণজনিত ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বয়সজনিত পরীক্ষাটি বাকি আছে। শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে তাও সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও বহুল আলোচিত। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারী ফুটবলার জানিয়েছে, সে ধর্ষণের চেষ্টা নয়, ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ অবস্থায় আগের মামলার সঙ্গে এখনকার অভিযোগ যুক্ত করে তদন্ত করা হবে।
উপরের ছবি: অভিযুক্ত অহিদুল আলম ফকির ফয়সাল এর