মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ভেঙে ৭৪টি গাড়লের মৃত্যু হয়েছে। এতে উদোক্তার প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে এই গাড়লগুলো প্রাণ হারায়।
মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান জানান, মোনাখালী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান লাভের আশায় ভৈরব নদের ধারে গাড়লের খামার করেন। তার খামারে ১২০টি গাড়ল ছিলো। খামার মালিক আইন পেশার কারণে মেহেরপুরে বসবাস করেন। এসময়ে তিনি চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। খামারের পাহারা ও গাড়ল চরানোর জন্য ইয়ারুল ইসলাম ও আসাদুল ইসলাম নামের দুই জন রাখাল রয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে গাড়লের খামার। ঝড়ে খামারের গাড়ল রাখার ফরাস (পাটাতন) কাত হয়ে যায়। এতে ১২০টি গাড়ল একে অপরের উপর চাপা পড়ে এবং রাতের মধ্যে ৭৪টি গাড়ল মারা যায়। প্রতিটি গাড়লের বাজার মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ হজার টাকা। মারা যাওয়া গাড়লগুলোর আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ টাকা।
খামার মালিক অ্যাড. মোখলেছুর রহমান মোবাইল ফোনে রাজশাহী থেকে জানান, এতে তার প্রায় ১৭-১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেশিরা জানান, খামার মালিক না থাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের পর রাতে রাখাল দু’জনের কেউই খামার দেখতে আসেনি। সকালে চরাতে নেওয়ার জন্য এলে তারা গাড়লগুলোকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অসাবধানতার কারণে এতগুলো গাড়ল মরেছে।