দেখা মিলছে না বড় ইলিশের

চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের নদীতে দেখা মিলছে না সেই কাঙ্ক্ষিত বড় ইলিশের। দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ব্যাপক উৎসাহে জাল নিয়ে নদীতে ছুটে গেলেও হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে তাদের।

দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ইলিশের মাছঘাট চাঁদপুর বড় স্টেশন ঘাটের প্রধান ইলিশের আড়তগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য নেই। শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

চাঁদপুরের হাইমচর থেকে মতলব উত্তরের ষাটনলের ৭০ কি. মি. নৌ পথ এলাকার জেলেদেরকে দিন শেষে হতাশ হয়েই নদী কিনারায় ফিরতে দেখা যায়। এক হিসেবে এই এলাকা জুড়ে রয়েছে ৫২ হাজার জেলের বিচরণ। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা শুরু হলেও এসব জেলেদের মুখে হাসি নেই।

দেখা যায়, চাঁদপুর বড় স্টেশন ঘাটে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন মৎস্য বনিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। স্বল্পসংখ্যক ইলিশ আমদানি হলেও দাম অনেক বেশি। অথচ বিগত বছরে এই সময়টাতে অনেকটাই সরগরম ছিলো মাছঘাট। সেখানে এবার ইলিশের আড়তগুলো সুনসান নীরব।

দেখা যায়, বড় স্টেশন মাছঘাটের পন্টুনে কোনো মাছের ট্রলার নেই। শ্রমিকদের সংখ্যাও খুব কম। মাত্র কয়েকটি আড়তে বসে আছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। আবার কয়েকটি আড়তের সামনে সামান্য সংখ্যক ইলিশ বরফ দিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দাম অস্বাভাবিক। অন্যান্য প্রজাতির মাছের আমদানি না থাকায় ঘাটে খুচরা ব্যবসায়ীদেরও দেখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে মেসার্স তাজু ভূঁইয়া আড়তের ব্যবসায়ী দিদার হোসাইন বলেন, ইলিশের আমদানি কম থাকায় ঘাটে বড় সাইজের ইলিশ বলতে এখন ওজনে দুই থেকে আড়াই কেজি। যেগুলোর প্রতি কেজির মূল্য ২৫০০ টাকা। তবে পরিমাণে তেমন একটা বেশি বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিভিন্ন আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইলিশের আমদানি খুবই কম। গত তিন দিন নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরিয়তপুর থেকে ট্রাকে করে আনা এবং চাঁদপুরের লোকালসহ সবগুলো আড়ত মিলিয়ে ১৫-২০ মণ করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। দাম অনেক বেশি। ১ কেজি ২শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকা মণ। ৮শ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণ প্রতি ৭০ হাজার টাকা, ৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকা এবং আড়াইশ থেকে ৪শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি রোটারিয়ান আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম না। যার কারণে খুব একটা ইলিশ নেই আর বড় ইলিশ তো মোটেও নেই। সামনের মৌসুমে আশা করছি জেলেরা ইলিশ পাবেন। তখন আমদানিও বাড়বে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts